—প্রতীকী চিত্র।
সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগে ম্যাচ গড়াপেটার গন্ধ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে মহমেডান বনাম টাউন ক্লাবের ম্যাচকে ঘিরে। ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট পেয়েছে টাউন।
বৃহস্পতিবার থেকেই মহমেডান ব্যাটসম্যানদের অদ্ভূত সব আউট হওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে থাকে সমাজমাধ্যমে। কিন্তু রাতের দিকে ঘটনাটি আরও বেশি করে প্রাধান্য পায় বাংলার ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী দু’টি ভিডিয়ো তুলে দেওয়ায়। যেখানে দেখা যায় ব্যাটসম্যানেরা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বিষ বল ছেড়ে দিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছেন।
শ্রীবৎস লেখেন, “কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে প্রিমিয়ার ডিভিশন ম্যাচে দু’টি বড় ক্লাব এই রকম ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেউ কি বলতে পারবে এখানে ঠিক কী হচ্ছে?” এখানেই থামেননি তিনি। আরও যোগ করেন, “আমি এরকম দৃশ্য দেখে সত্যিই লজ্জিত। ক্রিকেট খেলা আমার হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের। আমি ক্রিকেট ভালবাসি এবং বাংলার হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছি। এই দৃশ্য আমায় ব্যথিত করেছে। বাংলার মন ও প্রাণ হল ‘ক্লাব ক্রিকেট’। দয়া করে ক্লাব ক্রিকেটকে নষ্ট হতে দেবেন না। ভিডিয়োতে যা দেখা গিয়েছে তা গড়াপেটা ছাড়া কিছুই নয়। সাংবাদিকরা এখন সব কোথায়?”
প্রথম ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে মহমেডানের এক ডান হাতি ব্যাটসম্যান স্টাম্পের সোজাসুজি আসা বল নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্য ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এক বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে স্টেপ আউট করে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হচ্ছেন।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে টাউন ক্লাবের কর্তা দেবব্রত দাসের দিকে। তিনি আবার সিএবির যুগ্ম সচিবও বটে। ময়দানে শোনা যাচ্ছে দেবব্রত মহমেডানকে দশ পয়েন্ট ছাড়ার জন্য চাপ দিয়েছেন। কিন্তু কী ভিত্তিতে এই চাপ দেওয়া? শোনা যাচ্ছে মহমেডান এক ‘অবৈধ’ ক্রিকেটারকে খেলাচ্ছে ধরতে পেরেই তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। সে দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত। ফলে অঙ্কটা বোঝাই যাচ্ছে কে মহমেডানকে চাপ দিয়েছে?
সিএবি আধিকারিকের সঙ্গে ক্লাবের যোগ থাকায় শুরুতে অবশ্য বাংলার ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা ব্য়াপারটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে এবং শ্রীবৎস ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে তুলে দেওয়ায় দেরিতে হলেও সিএবির ঘুম ভেঙেছে। ইতিমধ্যে সিএবির সভাপতি স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁরা ওই ম্যাচের আম্পায়ার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রিপোর্ট চেয়েছেন। তাঁর কথায়, “আগামী শনিবার আমরা আলোচনার জন্য প্রতিযোগিতা কমিটির একটি বৈঠক ডেকেছি।” কিন্তু বৈঠক আদৌ ফলপ্রসূ হবে তো, প্রশ্ন সেখানেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy