চেতেশ্বর পুজারা। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় সৌরাষ্ট্রের। চেতেশ্বর পুজারা রান করলেও তাঁর দল ছিটকে গেল রঞ্জি থেকে। এ বারের রঞ্জিতে ৮০০ রানের মাইলফলক পার করেছেন পুজারা। তিনি রানে ফিরেছেন। কিন্তু এই রঞ্জিতে আর খেলতে দেখা যাবে না তাঁকে। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ৩৩ রানে হেরে গিয়েছে সৌরাষ্ট্র।
তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ইনিংসে হারল সৌরাষ্ট্র। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল পুজারার দল। এই মরসুমে পুজারা ১৩টি ইনিংসে করেন ৮২৯ রান করেন। রঞ্জিতে তৃতীয় বার ৮০০ রানের মাইলফলক পার করলেন তিনি। প্রথম বার করেছিলেন ২০০৮-০৯ মরসুমে। ভারতীয় দলকে বাদ পড়ার পর পুজারার এই রান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দলের হার বাঁচাতে পারলেন না তিনি।
প্রথম ইনিংসে সৌরাষ্ট্র মাত্র ১৮৩ রান করে। পুজারা করেছিলেন ২ রান। জবাবে তামিলনাড়ু তোলে ৩৩৮ রান। ৮০ রান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ১৫৫ রানে লিড পেয়ে যায় তামিলনাড়ু। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্র সেই রানও টপকাতে পারল না। ইনিংস এবং ৩৩ রানে হেরে গেল পুজারার দল। রঞ্জির সেমিফাইনালে তামিলনাড়ু।
অন্য ম্যাচে লড়াই চলছে হনুমা বিহারীর অন্ধ্রের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের। সেই ম্যাচে জয়ের জন্য অন্ধ্রের প্রয়োজন আর ৭৫ রান। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। ক্রিজ়ে রয়েছেন হনুমা। জয়ের জন্য দল তাকিয়ে তাঁর দিকে। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের প্রশিক্ষণে মধ্যপ্রদেশ যে চতুর্থ দিনে লড়াই ছেড়ে দেবে না তা বলাই যায়। আবেশ খান, কুমার কার্তিকেয়, অনুভব আগরওয়াল, সারাংশ জৈনদের বোলিং সামলে ৭৫ রান তুলতে হবে হনুমাদের। সোমবার সকালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে এই ম্যাচে।
মুম্বই বনাম বরোদা ম্যাচে ৫৭ রানে এগিয়ে মুশির খানেরা। অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে খেলছে মুম্বই। প্রথম ইনিংসে মুশিরের দ্বিশতরানে ভর করে তারা তুলেছিল ৩৮৪ রান। জবাবে বরোদা তোলে ৩৪৮ রান। ৩৬ রানে লিড পায় মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তারা ২১ রান করেছে এক উইকেট হারিয়ে। পৃথ্বী শ বা মুশিরেরা কেউ ব্যাট করতে নামেননি। সোমবার সকালে তাই দ্রুত রান তুলে বরোদাকে চাপে ফেলতে চাইবে মুম্বই। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় কিছুটা সুবিধা পাবেন রাহানেরা। ম্যাচের ফল না হলে সেমিফাইনালে উঠবেন তাঁরাই।
অন্য ম্যাচটি চলছে বিদর্ভ এবং কর্নাটকের মধ্যে। সেই ম্যাচে ২২৪ রানে এগিয়ে বিদর্ভ। শেষ দিনে আরও কিছু রানে লিড নিয়ে কর্নাটককে ব্যাট করাতে পারেন করুণ নায়ারেরা। প্রথম ইনিংসে বিদর্ভ ৪৬০ রান করেছিল। ওপেনার অথর্ব তাইড়ে ১০৯ রান করেন। ৯৩ রান করেন যশ রাঠোর। ৯০ রান করেন নায়ার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্নাটক শেষ ২৮৬ রানে। অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল কোনও রান পাননি। নিকিন জোশ করেন ৮২ রান। রবিকুমার সমর্থ ৫৯ রান করেন। কিন্তু বড় রানে লিড পেয়ে যায় বিদর্ভ। সেমিফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে তারাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy