আগ্রাসী: বাটলারের ইনিংসই জেতায় ইংল্যান্ডকে। ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি করে জস বাটলার বলে দিচ্ছেন, ইনিংসের শুরুর দিকে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছিল তাঁকে। ধৈর্য ধরেই তাঁকে এগোতে হচ্ছিল। ‘‘সেঞ্চুরিটা করতে পেরেছি ধৈর্য ধরে আর মাথা ঠান্ডা রেখে। শুরুতে খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল। মর্গ্যানের সঙ্গে ভাল একটা জুটি গড়ে তুলতে পেরেছিলাম। তার পরে শেষে গিয়ে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিই,’’ বলেছেন বাটলার।
৬৭ বলে তাঁর অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দেয় সোমবারের ম্যাচে। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩-৪ তোলে ইংল্যান্ড। তার পরে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে শেষ করে দিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয়। কার্যত সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিতই করে ফেলেছে অইন মর্গ্যানের দল। পরিকল্পনা কী ছিল? বাটলার বলছেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছিলাম, স্কোরবোর্ডকে যে ভাবে হোক সচল রাখার। স্পিনারদের খেলা সহজ হচ্ছিল না। এক সময় মনে হচ্ছিল, ১২০ রানও ভাল স্কোর হতে পারে। মগ্সের (দলের মধ্যে অধিনায়ক মর্গ্যানের ডাকনাম) সঙ্গে ব্যাটিং খুবই উপভোগ করি। আমরা দু’জনেই চেষ্টা করছিলাম, ছোট বাউন্ডারির দিকটা তাক করতে।’’
বাটলার তাঁর প্রথম ৫০ রান করতে ৪৫ বল নেন। তার পরের ৫০ আসে মাত্র ২২ বলে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এর আগে ২০১৪-তে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই আলেক্স হেলস করেছিলেন অপরাজিত ১১৬। তবে ইংল্যান্ডের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি— তিন ধরনের ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি করার কীর্তি অর্জন করলেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে ৭৭ রান তোলেন বাটলার। দ্বিতীয় পর্বে ৩৭ বলে ছ’টা ছয় ও চারটি চার মারেন তিনি। ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৬০ শতাংশেরও বেশি রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দুঃস্বপ্নের ফর্ম চলা মর্গ্যান ৩৬ বলে ৪০ রান করেন। নাইট অধিনায়কের ইনিংসে ছিল একটি চার, তিনটি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং আফগানিস্তানের আসগার আফগানকে টপকে সব চেয়ে বেশি জয়ের মালিক এখন মর্গ্যান। অন্য দিকে, শেষ বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা নিয়ে বাটলার বলে গেলেন, ‘‘আমি ভাবার চেষ্টা করছিলাম, কোথায় বলটা ফেলতে পারে। মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলাম। আসলে তত ক্ষণে অনেকটা সময় ক্রিজ়ে কাটিয়ে ফেলেছিলাম। আর আশা করছিলাম, বোলার ভুল করবে।’’
যদিও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকাকে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করার মুহূর্তটাকে সেরা বলে বেছে নিয়েছেন বাটলার। তাঁর কথায়, ‘‘রান আউটটা আমার কাছে সেরা মুহূর্ত। ওই সময় আমরা খুব চাপে ছিলাম। টাইমাল মিলসের চোট লাগার পরে মইন আলিকে বল করতে হত। তাই ওই উইকেটটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy