আগুনে পুড়ে যাওয়া সাজঘর ঘুরে দেখলেন সিএবি প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ইডেন গার্ডেন্সের আগুন-কাণ্ডে কোনও অন্তর্ঘাতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়ে দিলেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলে আগুন লেগেছিল বলে জানানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণও করে ফেলা হয়। আগামী দিনে নিরাপত্তা এবং আগুন নেভানোর ব্যবস্থা আরও মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দু’মাসও বাকি নেই। তার আগে ইডেনে আগুন লাগায় উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। তবে আগুনে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানালেন স্নেহাশিস। তিনি বললেন, “রাত ১১.৫০ নাগাদ আগুন লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাজঘরে একটা সওনা বাথের ব্যবস্থা ছিল। সেটার সুইচ অন করে রাখার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আগুনের একটা ফুলকি হয়। ওখানে অনেক তোয়ালে রাখা ছিল। তাতে আগুন ধরে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। জায়গাটার কোনও ক্ষতি হয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যমে অন্তর্ঘাতের কথা বলা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সামনে বিশ্বকাপ রয়েছে। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য, ইডেনকে সাজিয়ে তোলার জন্য।”
সিইএসসি-র কর্মীরা এসে ইডেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দেখে গিয়েছেন। প্রধান লাইনে কোনও ক্ষতি হয়নি। সাজঘরের বেশ কিছু তার পুড়ে গিয়েছে। সেই সব সারানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্নেহাশিস। তিনি বললেন, “ইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হবে। বিশ্বকাপের আগে ইডেনকে সাজানোর জন্য এখানে অনেক কর্মী কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেরই বিদ্যুতের সম্পর্ক জ্ঞান নেই। এক দু’দিনের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে সেটা ক্লাব হাউসের জন্য। এ ছাড়াও আগুন নেভানোর জন্য ইডেনের বিভিন্ন ব্লকে স্প্রিঙ্কলার (জল দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা) লাগানো হচ্ছে। আপার টায়ারেও স্প্রিঙ্কলার লাগানো হচ্ছে।”
গত শনিবার আইসিসি এবং বিসিসিআই-এর কর্মীরা এসে ইডেন ঘুরে গিয়েছেন। তাঁরা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার আসবেন। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডেন সংস্কারের সব কাজ শেষ করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সিএবি সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy