ইডেন গার্ডেন্স। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির তদন্তে নেমে ময়দান থানায় বাংলার ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার সকালে ময়দান থানায় গেলেন সিএবি কর্তারা। এর আগে অনলাইন টিকিট বুকিং সংস্থার কর্তাদেরও থানায় হাজিরা দিতে হয়েছে।
কলকাতায় রবিবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। সেই ম্যাচের টিকিট পাননি অনেকেই। সিএবি সদস্যেরাও সকলে টিকিট পাননি। সেই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের অভিযোগ, অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি করছে তাদের পাশাপাশি, সিএবি এবং বিসিসিআই কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে। ময়দান এবং এন্টালি, কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জন গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
ইডেন গার্ডেন্সে আগামী রবিবার ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিটের জন্য প্রথম থেকেই হাহাকার। স্টেডিয়ামে আসন সীমিত। অথচ টিকিটের চাহিদা আকাশছোঁয়া। তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএবি কর্তারা। অভিযোগ, সিএবির সদস্যদের অধিকাংশই টিকিট পাননি। ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার সংস্থার বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা।
টিকিট প্রসঙ্গে সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপ আইসিসির ইভেন্ট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একটি সংস্থাকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছে। সিএবি শুধু ম্যাচের আয়োজক। আমরাও টিকিট পেয়েছি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার মাধ্যমে। চাহিদার তুলনায় অনেক কম টিকিট পেয়েছি আমরা। ফলে ক্লাব, অনুমোদিত সংস্থা, সদস্যদের নির্ধারিত কোটা কমাতে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy