রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং মুকেশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে তাঁকে খেলানো হয়নি। ইনিংসে হারের জন্য দলের আফসোস যায়নি। দু’দিন পরেই শুরু হয়েছিল কাজ। সেঞ্চুরিয়নের নেটে এক ঘণ্টা বল করেছিলেন রোহিত শর্মাকে। কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানোর পর তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। সেই মুকেশ কুমার সিরিজ়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া শিক্ষার কথা জানালেন। রোহিত তাঁকে কী পরামর্শ দিয়েছেন, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন বাংলার পেসার।
সেঞ্চুরিয়নের সেই অনুশীলনে রোহিত চেয়েছিলেন, মুকেশ একটি নির্দিষ্ট কোণ থেকে বল করুন। তিনি মুকেশের উদ্দেশে বলেছিলেন, “বল হাওয়ার সাহায্যে ভেতরের দিকে আসছে। কিন্তু তুই চেষ্টা কর কোণ থেকে ভেতরে আনার।” রোহিত চাইছিলেন, ৪-৬ মিটার লেংথে বল ফেলুন মুকেশ। বাংলার পেসার সেটাই করছিলেন। রোহিতকে বেশ তৃপ্ত দেখিয়েছিল মুকেশের বোলিং দেখে। বেশ কয়েক বার রোহিতকে পরাস্ত করেছিলেন মুকেশ। অধিনায়কের প্রশংসাও পেয়েছিলেন।
সেই প্রসঙ্গে মুকেশ বলেছেন, “আমরা পরামর্শ চাইতে গেলে রোহিত ভাই বরাবর একটা কথাই বলে, ‘নির্দিষ্ট এলাকায় বল ফেল’। সিনিয়র ক্রিকেটারেরাও বলে, ‘যদি নির্দিষ্ট লেংথে একটানা বল ফেলে যেতে পারিস তা হলে আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারবি’।” মুকেশ সেটাই করেছেন কেপ টাউন টেস্টে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডারকে, দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বল করার কৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুকেশ বলেছেন, “ভারতের মাটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বল করার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। ভারতে ফুল লেংথে বল করতে গেলে বল হাওয়ায় নড়ে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই কাজ করতে গেলে ব্যাটারকে আক্রমণ করবে। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম ৬ থেকে ৮ মিটার লেংথে বল করব। যে হেতু দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে বাউন্স রয়েছে তাই উইকেটও পাওয়া যায়।”
বিহার গোপালগঞ্জ থেকে বাংলায় এসে জাতীয় দলের দরজা খুলেছে মুকেশের কাছে। সম্প্রতি বিয়েও করেছেন। মুকেশ জানালেন, গ্রামের বাড়িতে গেলে এখন অন্য রকম সম্মান পান তিনি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন রণদেব বসুকেও, যিনি মুকেশকে জোরে বোলার হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy