মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস মহম্মদ শামির। ছবি: পিটিআই।
ক্রমশ ছন্দে ফিরছেন মহম্মদ শামি। তবে এখনও আরও অনেকটা পথ বাকি বলেই মনে করছেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। প্রথম দিনে ১০ ওভার বল করে উইকেট পাননি শামি। বৃহস্পতিবার ৪ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগও রয়েছে। তবে লক্ষ্মী মনে করছেন, আরও কয়েকটি ম্যাচ খেললেই পুরনো শামিকে পাওয়া যাবে। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দ্বিতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে এগিয়ে ২৩১ রানে।
বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই ম্যাচে খেলছেন শামি। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি। তার পর আবার প্রথম বার কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন শামি। তিনি কতটা সুস্থ তা দেখার জন্য জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিয়ো রয়েছেন ইনদওরে। বাংলার কোচ লক্ষ্মী আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “শামি ভাল বল করেছে। তবে এখনও পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। প্রথম দিন ১০ ওভার বল করেছিল, বৃহস্পতিবার করল আরও ৯ ওভার। আরও কয়েকটা ম্যাচ খেললে পুরনো ছন্দে পাওয়া যাবে ওকে।”
ইনদওরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে অনেকটাই স্বস্তিতে বাংলা দল। সবে দু’দিনের খেলা হয়েছে। তাতেই ম্যাচের রাশ বাংলার হাতে। তবে কোচ লক্ষ্মী অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে চাইছেন না। তিনি বললেন, “ম্যাচ এখনও অনেক বাকি। অন্তত আরও ১০০ রান প্রয়োজন। মধ্যপ্রদেশ বড় দল। ওদের সহজে হারিয়ে দেব ভাবলে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে ওদের ১০ উইকেট তুলে নিতে পেরেছি মানে দ্বিতীয় ইনিংসেও পারব এমনটা নয়। আমাদের ম্যাচ থেকে মনোযোগ হারালে চলবে না।”
প্রথম ইনিংসে বাংলা ২২৮ রান করেছিল। শাহবাজ় আহমেদ ৯২ রান করেছিলেন। বল হাতে মধ্যপ্রদেশকে ১৬৭ রানে থামিয়ে দেয় বাংলা। শামি নেন ৪ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং মহম্মদ কইফ। একটি উইকেট নেন রোহিত কুমার। এই ম্যাচে একই সঙ্গে খেলছেন শামি এবং তাঁর ভাই কইফ। এই প্রথম তাঁরা একসঙ্গে কোনও ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
বাংলার ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে তিনি কিছু ক্ষণের জন্য মাঠ ছাড়েন। মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় তখনই। নিয়ম অনুযায়ী এক জন ফিল্ডার যত ক্ষণ মাঠের বাইরে থাকবেন, তত ক্ষণ পরে তিনি ব্যাট করতে নামতে পারবেন। যে কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে পারেননি সুদীপ। সেই জায়গায় শুভম দে-র সঙ্গে ওপেন করেন সুদীপ ঘরামি। তবে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের চোট গুরুতর নয়। তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। ৪০ রান করেন। ঘরামিও ৪০ রান করেন। দিনের শেষে বাংলা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেছে। আরও ১০০ রান চাইছেন কোচ। ক্রিজ়ে রয়েছেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের ব্যাটেই শুক্রবার সকালে রান চাইছেন কোচ লক্ষ্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy