জৈবদুর্গ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের ফাইল চিত্র
হাঁফ ছেড়ে বাঁচছেন বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মারা। দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তাঁরা। কারণ, আইপিএল শেষ হলে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে উঠে যাচ্ছে জৈবদুর্গ।
আইপিএলের ফাইনালের আগেই বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিলেন, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টি২০ সিরিজে ক্রিকেটারদের আর জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে হবে না। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ‘‘আইপিএলেই শেষ বারের মতো ক্রিকেটারদের জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে আর জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে হবে না কাউকে। তবে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করা হবে।’’
এ বারের আইপিএল চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ক্রিকেটার ও চার জন সাপোর্ট স্টাফ। পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লির ম্যাচ পুণে থেকে মুম্বইয়ে সরানো হয়েছিল। দিল্লির প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মাঠে ঋষভ পন্থদের সঙ্গে যেন কেউ হাত না মেলান। অবশ্য দিল্লি ছাড়া অন্য কোনও দলের ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হননি। জৈবদুর্গের মধ্যে সুস্থই ছিলেন তাঁরা। দেশে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যাও এখন অনেক কম।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেক দিন ক্রিকেট বন্ধ ছিল। তার পরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও খেলার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের জৈবদুর্গের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন জৈবদুর্গের মধ্যে থাকায় মানসিক সমস্যার অভিযোগ করেন অনেক ক্রিকেটার। গত বছর আইপিএলের মধ্যেই মইন আলির মতো ক্রিকেটারকে চেন্নাই শিবির ছেড়ে ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এ বারের আইপিএলে সেই সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন জয়। তিনি বলেন, ‘‘জৈবদুর্গের মধ্যে থাকা কঠিন। কিন্তু আইপিএলে সেই ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের পরিবার যেন থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিটি দল আলাদা আলাদা হোটেলে ছিল। ফলে সেখানে পরিবারের সঙ্গে আনন্দেই সময় কাটিয়েছে সবাই।’’
তার মধ্যেই অবশ্য দিল্লি শিবিরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু তার জন্য আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা আশঙ্কা তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন জয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলাম। খেলার মাঠ বদলে দিয়েছিলাম। প্রতিদিন দিল্লি শিবিরের সবার করোনা পরীক্ষা করা হত। যারা আক্রান্ত হয়েছিল তারাও কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। বাকি কোনও দলে সংক্রমণ ছড়ায়নি।’’
মহারাষ্ট্রের চারটি স্টেডিয়ামে প্রায় দু’মাস ধরে যে ভাবে আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ৭০টি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল, তার জন্য মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জয়। প্লে-অফের প্রথম দু’টি ম্যাচ হয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হয়েছে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। রবিবার সেখানেই ফাইনাল। তাঁর রাজ্যের দল গুজরাত টাইটান্স ফাইনাল খেললেও আলাদা করে কোনও দলকে সমর্থন করছেন না জয়। তাঁর কথায়, ‘‘বিসিসিআই সচিব হিসাবে আমি আলাদা করে কোনও দলকে সমর্থন করতে পারি না। দু’দলকেই শুভেচ্ছা। যে দল ভাল খেলবে তারাই জিতবে।’’
আমদাবাদে ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন। ফাইনালের আগে আইসিসির প্রতিনিধিরা এসে মাঠ পরিদর্শন করেছেন। স্টেডিয়াম দেখে তাঁরা খুব খুশি বলে জানিয়েছেন জয়। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ক্রিকেট-সহ প্রায় ৪০টি খেলা আয়োজন করার বন্দোবস্ত রয়েছে আমদাবাদের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। ভবিষ্যতে এই স্পোর্টস কমপ্লেক্স আরও বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেখানে অলিম্পিক্স বা এশিয়ান গেমস আয়োজন করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy