যে ভাবে আম্পায়ারেরা ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ মাঠে নামার ইঙ্গিত করেন। — ফাইল চিত্র।
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তুলে দেওয়া হল ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম। সোমবার সব রাজ্য সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। এই সিদ্ধান্তে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ কিছু দিন আগেই বোর্ড জানিয়েছিল ২০২৭ আইপিএল পর্যন্ত ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম থাকছে।
সৈয়দ মুস্তাক আলিতে যে এই নিয়ম থাকবে না তা বোঝা গিয়েছিল। বিস্ময় তৈরি হয়েছে আইপিএলে রেখে দেওয়া নিয়ে। এ দিন বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি মরসুমে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরের মরসুমে তা ফের চালু করা হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
দু’মরসুম আগে পরীক্ষামূলক ভাবে সৈয়দ মুস্তাক আলিতে চালু করা হয়েছিল ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম। পরে সেটি আইপিএলেও চালু করা হয়। সম্প্রচারকারীরা তাতে খুশি হয়েছিলেন। ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম চালুর পর প্রতিটি দলই আগের থেকে বেশি রান করতে থাকে। তবে অনেক ক্রিকেটারই এতে খুশি হতে পারেননি। তাঁরা দাবি করেছিলেন, এতে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব অনেক কমে যাচ্ছে।
‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ে রোহিত বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এর ফলে অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা। ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, শিবমেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন। আলাদা করে ব্যাটার নামানোর সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে।”
তাঁর কথার সূত্র ধরে মহম্মদ সিরাজ বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম তুলে দিন। বোলারদের কাজ খুব কঠিন হয়েছে। পাটা উইকেটে যে কেউ এসে প্রথম বল থেকে মারা শুরু করে। এ বছরের আইপিএলে ২৭০-২৮০ রান খুবই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।”
এই নিয়মে অপছন্দের কথা জানিয়ে কেকেআরের রমনদীপ সিংহ বলেছিলেন, রমনদীপ বলেন, “নেটে বল করি। কিন্তু এখন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম রয়েছে। তাই এক জন অতিরিক্ত বোলার খেলানো যায়। সব দল চেষ্টা করে বিশেষজ্ঞ বোলার খেলাতে। অলরাউন্ডারদের সুযোগ কমে যাচ্ছে।”
যদিও ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের পাশে দাঁড়িয়ে কেকেআরেরই বরুণ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “আইপিএল বাকি ক্রিকেটের থেকে আলাদা। এটা মেনে নিতে হবে। গত মরসুমেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম ছিল। এ বারে সেই নিয়মকে বেশি ভাল কাজে লাগাচ্ছে দলগুলো। ব্যাটারেরা শুরু থেকে মারছে। তা নিয়ে বোলারদের কান্নার কিছু নেই। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”
কিছু দিন আগে লখনউয়ের মেন্টর হওয়ার পর জাহির খানও বলেছেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের কারণে বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমার মনে হয় এটা ভাল দিক। আর অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। ভাল অলরাউন্ডার হলে সে সুযোগ পাবেই। কেউ যদি অর্ধেক অলরাউন্ডার হয়, তা হলে তার পক্ষে দলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল হবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy