সিএবি-র প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ এবং যুগ্ম-সচিব বাবলু গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘৯ বছর সিএবি পদাধিকারী থেকেছি। ঋদ্ধিমানকে যখনই বাংলার ক্রিকেটের জন্য দরকার হয়েছে, সব কিছু ছেড়ে এগিয়ে এসেছে। সিএবি-র পদে বসে এমন মন্তব্য কেউ করেছে দেখে আমি ব্যথিত, লজ্জিত।’’
ফাইল চিত্র।
ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকি দিয়ে জনৈক সাংবাদিকের পাঠানো মোবাইল মেসেজ়ের তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কমিটিতে আছেন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রভতেজ সিংহ। পরের সপ্তাহ থেকেই তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
ইন্টারভিউ দিতে অস্বীকার করলে ঋদ্ধিকে হুমকি দিয়ে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন উক্ত সাংবাদিক। বঙ্গ উইকেটকিপার নিজেই সেই হুমকির স্ক্রিনশট তুলে দেন টুইটারে। জানা গিয়েছে, বোর্ডের একাংশ এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলেও এই মুহুর্তে অধিকতর প্রভাবশালী অংশের তাতে সায় নেই। তাই তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে উক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এ দিকে, পাশে দাঁড়ানোর বালাই নেই উল্টে ঋদ্ধি তাঁর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে পাচ্ছেন শুধুই নোংরামি। সিএবি যুগ্ম-সচিব টাউন ক্লাবের প্রতিনিধি দেবব্রত দাস অভিযোগ করেছেন, ‘‘বাংলার হয়ে খেলার কথা উঠলেই নাকি ঋদ্ধিমান গায়ে ব্যথা, পায়ে চোটের অজুহাত দিয়ে সরে যান। বাংলার প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা দেখাননি কখনও।’’ ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ঋদ্ধি বাংলার হয়ে রঞ্জি কেন খেললেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুক্রবার সকালে ফেসবুকে পাল্টা বক্তব্য পেশ করেন ঋদ্ধির স্ত্রী রোমি। লেখেন, ‘‘গায়ে, পায়ে ব্যথার অজুহাত যে দিত, শুধুমাত্র রঞ্জিতেই তার ব্যাটিং গড় ৫০। শুনেছি ও দেখেছি, ভাঙা আঙুল নিয়েও খেলেছে। যদি জানতাম, আগে এত গায়ে-পায়ে ব্যথা হচ্ছে, তা হলে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিতে বলতাম।’’ রোমির আরও বক্তব্য, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে ও রঞ্জি খেলবে না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। ওর ক্ষেত্রেই দেখলাম বয়সটা কাঁটা
হয়ে গেল।’’
সিএবি-র প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ এবং যুগ্ম-সচিব বাবলু গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘৯ বছর সিএবি পদাধিকারী থেকেছি। ঋদ্ধিমানকে যখনই বাংলার ক্রিকেটের জন্য দরকার হয়েছে, সব কিছু ছেড়ে এগিয়ে এসেছে। সিএবি-র পদে বসে এমন মন্তব্য কেউ করেছে দেখে আমি ব্যথিত, লজ্জিত।’’ আর এক প্রাক্তন কর্তা বিশ্বরূপ দে বললেন, ‘‘এটা মনে হয় দেবব্রত দাসের উক্তি নয়, উচ্চমহলের কোনও কর্তার উক্তি তাঁকে দিয়ে বলানো হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘যে ছেলেটা এত বছর বাংলা ও ভারতের হয়ে খেলে গিয়েছে, যাকে ১০০ শতাংশ টিমম্যান হিসেবে সবাই জানে, তার সম্পর্কে এ রকম কথা বললে সিএবির গরিমা বাড়ে না।’’ সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, যুগ্ম-সচিবের মন্তব্য সিএবি-র বক্তব্য নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy