তাসকিন আহমেদ। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা। নিলামে নাম দিয়েছেন সে দেশের তিন পেসার। কিন্তু সেই তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামকে পুরো আইপিএলের জন্য না-ও ছাড়তে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাই আইপিএলের দলগুলিও তাঁদের নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করতে পারে।
গত বারের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসকে কিনেছিল। কিন্তু শাকিব আইপিএল খেলতেই আসেননি। লিটন শুরুর দিকে আসেননি। পরে এলেও খুব বেশি দিন ভারতে ছিলেন না। এ বারে তাঁরা আর নাম লেখাননি আইপিএল খেলার জন্য। তবে মুস্তাফিজুরেরা চেয়েছেন নিলামে উঠতে। কিন্তু বোর্ডের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান জালাল ইউনাস বলেন, “দেশের খেলার সময়ে যদি আইপিএল হয়, তা হলে হয়তো পুরো প্রতিযোগিতায় ওরা খেলতে পারবে না।”
পরের বছর মার্চে শুরু হতে পারে আইপিএল। চলবে মে মাস পর্যন্ত। তার পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। জুন মাসে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই জালাল বলেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এগোতে হবে আমাদের। আমরা চাই না দলের পেসারেরা বিশ্বকাপের আগে কোনও চোট পাক। সেই কারণেই সাবধানে খেলানো হবে ওদের।”
সাধারণত আইপিএলের দলগুলি এমন ক্রিকেটারদের দলে নিতে চান যাঁদের পুরো প্রতিযোগিতায় পাওয়া যাবে। ২০২২ সালের আইপিএলে তাসকিনকে নিতে চেয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। মার্ক উড চোট পাওয়ায়, তাঁর জায়গায় বাংলাদেশের পেসারকে দলে নিতে চেয়েছিল লখনউ। কিন্তু বাংলাদেশ বোর্ড তাঁকে ছাড়েনি। ফলে আইপিএল খেলা হয়নি তাসকিনের। এ বারেও যদি সেই কারণে তাঁকে এবং বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটারদের নিলামে অবিক্রিত থেকে যেতে হয়, তা হলে সত্যিই সেটা মুস্তাফিজুরদের জন্য দুর্ভাগ্যেরর।
অনেক দেশই চায় বিশ্বকাপের আগে আইপিএল থেকে ক্রিকেটার সরিয়ে নিতে। আগেও দেখা গিয়েছে দেশের হয়ে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের আইপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy