বাড়ি ফিরলেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার চার দিন পর বাড়ি ফিরলেন তিনি। তবে কবে আবার ক্রিকেট খেলতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী তিন মাস তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩৬ বছরের ক্রিকেটার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সোমবার টসের পর বুকে ব্যথা অনুভব করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কিছু ঘণ্টা তাঁর জ্ঞান ছিল না। পরে তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ দিন তাঁর চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, “তামিমের শারীরিক অবস্থা দেখার পর আমরা হাসপাতাল থেকে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছি।” তামিমের ভাই নাফিস ইকবাল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে বাড়ি ফেরার খবর নিশ্চিত করেছেন। শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, আপাতত রিহ্যাব চলবে তামিমের। জীবনযাত্রার ধরন পাল্টাতে হবে। তিনি বলেছেন, “আশা করি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরতে পারবে তামিম।”
তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আবু জাফর জানিয়েছেন, তামিম ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ‘এনডিটিভি’ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেছেন, “আগামী তিন মাস তামিম কোনও ধরনের খেলাই খেলতে পারবে না। এই সময়ের মধ্যে সব ঠিকঠাক থাকলে ও আবার খেলায় ফিরতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, ও ধূমপান করে। সে কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে এবং চিকিৎসকদের কথা শুনতে হবে।”
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে সাভারের বিকেএসপি মাঠে মুশফিকুর, মাহমুদুল্লাদের সঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তামিম। ম্যাচ ছিল শাইনপুকুরের বিরুদ্ধে। ঢাকা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক টস করার সময়ও সুস্থ, স্বাভাবিক ছিলেন। কিছু ক্ষণ পর বুকে ব্যথা অনুভব করেন। মাঠ থেকে দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঢাকা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তামিমের অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানো হয়। তাঁর হৃদ্যন্ত্রে ব্লক পাওয়া যায়। তাই তামিমের হৃদ্যন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিমকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিসৎসকেরা। যদিও সোমবার বিকেল থেকে তিনি অনেকটাই স্থিতিশীল ছিলেন। তাঁর জ্ঞান ফেরার খবরে স্বস্তি ফিরেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটমহলে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তামিমকে দেখতে বিকেলে হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্য এবং সতীর্থেরা। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লা, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা গিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ককে দেখতে। তাঁদের সঙ্গেও অল্প কথা বলেছিলেন তামিম।