অসন্তুষ্ট শাকিবদের কোচ। —ফাইল চিত্র
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে রাসেল ডোমিঙ্গোর বিচ্ছেদ সময়ের অপেক্ষা। এমনিতেই টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব ডোমিঙ্গোর হাত থেকে কেড়ে নিয়েছে বিসিবি। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটের দায়িত্বও হয়তো শীঘ্রই ছাড়তে হবে তাঁকে। বাংলাদেশ বোর্ড ডোমিঙ্গোকে নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা কিছু দিন আগেই জানিয়েছিল। এ বার বোর্ড কর্তাদের তুলোধনা করলেন ডোমিঙ্গো।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোমিঙ্গো বলেন, “শেষ ১০ বছরে ক্রিকেটাররা এমন কোচিং দেখেনি। নিজেরা কিছু ভাবতেই পারে না ক্রিকেটাররা। বোর্ডের থেকে বকুনি খায় তারা, খালেদ মাহমুদ বকুনি দেন ওদের। প্রতিটা পদক্ষেপে বোর্ডের কথা শুনে চলতে হয় ওদের। এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে কিছু ভাবতেই পারে না।”
ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের প্রতিটা পদক্ষেপে কথা শুনতে হয়। তিনি বলেন, “আমি চাই সাজঘরে শান্তি থাকুক। সে রকম পরিবেশ তৈরি করতে চাই। কিন্তু বাইরের লোকে এত কথা বলে যে, সেটা সম্ভবই হয় না। আমাকে সব সময় বলা হয় ক্রিকেটারদের উপর চিৎকার করতে। আমার মনে হয় আগের কোচরা হয়তো এ রকম ছিল। তাতে খুব বেশি লাভ হয়েছে কি না জানি না। অনেক কোচই এসেছে, কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। তাই তারা চলে গিয়েছে।”
কর্তারা যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন না, সেটাও ডোমিঙ্গোর কথায় স্পষ্ট। বলেন, “বোর্ডের কর্তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের যে সেগুলো তাঁরা আমাকে বলেন না, অন্যদের বলেন। অন্যদের মুখ থেকে আমাকে শুনতে হয়। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে নিজের কাজে আমি খুশি।”
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি। ডোমিঙ্গো নিজেও সেটা জানেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। ডোমিঙ্গো বলেন, “আমি অবাক হইনি। হেরে গেলে যে কোনও জিনিসের জন্য তৈরি থাকতে হবে কোচকে। দলকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়।”
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর ডোমিঙ্গোর চুক্তি শেষ হওয়ার পর তিনি ছেড়ে দিতে পারেন। ডোমিঙ্গো নিজে না ছাড়লে বোর্ড তাঁকে সরিয়ে দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ দু’দিন আগে প্রকাশ্যেই ডোমিঙ্গোর কোচিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। বোর্ডের অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনিস মনে করেন ডোমিঙ্গো একেবারেই আক্রমণাত্মক নন। সেই কারণে এশিয়া কাপে ডোমিঙ্গো নন, বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি পরামর্শদাতা শ্রীধরন শ্রীরামের হাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy