নাগিন ডান্স করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। এই দৃশ্য কি এশিয়া কাপে আরও এক বার দেখা যাবে? —ফাইল চিত্র
গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে সব কিছুকে ছাপিয়ে উপরে উঠে এসেছে ‘নাগিন ডান্স’। জয়ী দলের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকেরা মেতেছেন এই বিশেষ কায়দার নাচে। এশিয়া কাপেও কি শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে নাগিন ডান্স নাচবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা? জবাব দিলেন দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান।
বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে শাকিবকে প্রশ্ন করা হয় নাগিন ডান্স নিয়ে। জবাবে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘‘সাজঘরে সবাইকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচকে লড়াই বলতে চাই না। আমরা শুধু নিজেদের খেলার দিকেই মন দিতে চাই। ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই।’’
তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ সহজ হবে না বলেই মনে করছেন শাকিব। তাঁর কথায়, ‘‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ টান টান হয়েছে। এ বারও সেটাই হবে। তাই শ্রীলঙ্কাকে হারাতে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। অন্য কোনও দিকে মন না দিয়ে শুধু কী ভাবে ম্যাচ জিতব সেটাই ভাবছি।’’
২০১৮ সালের এশিয়া কাপে প্রথম শিরোনামে এসেছিল নাগিন ডান্স। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা এই কায়দায় নেচেছিলেন। পরে নিদাহাস ট্রফিতেও সেই দৃশ্য দেখা যায়। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকেরা নাগিন ডান্স করেন। ফাইনালে শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে হারান ভারতের দীনেশ কার্তিক। ভারত জিতলেও শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের নাগিন ডান্স করতে দেখা গিয়েছিল। সেই দৃশ্য দেখা যেতে পারে বৃহস্পতিবারও। তবে আপাতত শুধু নিজেদের খেলাতেই মন দিতে চান শাকিব।
চোটের কারণে এশিয়া কাপের দলে তামিম ইকবাল, লিটন দাসেরা নেই। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অভাব ভোগাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘‘তামিম, লিটনদের অভাব বোধ করবই। তামিম বাংলাদেশের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছে। এত বছর ধরে খেলছে। গত চার-পাঁচ বছরে লিটন দেখিয়েছে ও কী করতে পারে। ওরা থাকলে অনেক চিন্তা কমত আমার। কিন্তু চোট তো কারও হাতে নেই।’’
তামিম, লিটনেরা খেলতে না পারায় বাংলাদেশের দলে সুযোগ পেয়েছেন তাঞ্জিদ হাসান তামিম, তাঞ্জিদ হাসান শাকিবের মতো তরুণ ক্রিকেটারেরা। তাঁদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার একটা ভাল সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন শাকিব। তিনি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা না থাকায় তরুণদের কাছে ভাল সুযোগ রয়েছে নিজেদের প্রমাণ করার। ওরা সুযোগ পাবে। সেটা কাজে লাগালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy