দুবাইয়ে সোনার গয়নার দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শাকিব। —ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শাকিব আল হাসান এখন দুবাইয়ে। একটি সোনার গয়নার দোকানের উদ্বোধন করতে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিপদে পড়লেন বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ভক্তদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। খুনের মামলায় অভিযুক্তের দোকানের উদ্বোধন করে পুলিশের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হতে পারে তাঁকে।
দুবাইয়ে যে সোনার গয়নার দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শাকিব, সেটি আরভ খানের। তিনি খুনের মামলায় অভিযুক্ত এবং পলাতক। তাঁর দোকানের উদ্বোধন করতে গিয়ে ভিড়ের চাপে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন শাকিব। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, শাকিবের দোষ কম। দেখা যাচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে তাঁরই কলার ধরে টানছেন অনেকে। কোনও মতে সেখান থেকে টেনে বার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারকে। কোনও নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন না।
শাকিবের সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ধাক্কাধাক্কি থেকে বার হয়ে এলেও শাকিব এ বার পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অ্যাডিশানাল কমিশনর (ডিটেক্টিভ) হারুন ওর রশিদ তেমনটাই জানিয়েছেন। শাকিবের উদ্বোধন করা দোকানের মালিক আরভ খান চার বছর আগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মামুন এমরান খানকে খুন করেন বলে অভিযোগ। আরবের আসল নাম রবিউল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। খুনের অভিযোগ ওঠার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। হারুন বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। শাকিবকে জানানো সত্ত্বেও এই দোকানের উদ্বোধন করতে গিয়েছেন উনি। তদন্তের অঙ্গ হিসাবে শাকিবকে প্রশ্ন করা হতে পারে।”
কিছু দিন আগেও বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন শাকিব। সে বার চট্টগ্রামে শাকিবকে দেখা যায় টুপি দিয়ে এক ভক্তকে আঘাত করতে। একটি পণ্যের প্রচার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শাকিব। তিনি সেখানে পৌঁছনোর পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বহু মানুষ ঘিরে ধরেন শাকিবকে। সই, নিজস্বীর আবদার করতে থাকেন তাঁরা। অনেকে বাংলাদেশের অধিনায়ককে ছোঁয়ার চেষ্টাও করেন। ভক্তদের অত্যাচারে প্রায় বন্দিদশা হয় অতিষ্ঠ শাকিবের। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে থাকলেও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এক সময়। তাতেই মেজাজ হারান। ক্ষুব্ধ শাকিব মাথার টুপি খুলে এক ভক্তকে কয়েক বার মারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy