বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের পরেই অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন বাবর আজ়ম। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি আলোচনাতে নাকি তেমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বাবর যথেষ্ট সময় পেয়েছেন নিজেকে প্রমাণ করার। কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে তিনি ব্যর্থ। তাই নতুন অধিনায়কের খোঁজ শুরু হয়েছে। তাতে এমন এক জনের নাম ভাবা হয়েছে, যিনি এখন পাকিস্তানের এক দিনের দলে সুযোগই পান না।
বিশ্বকাপের পর পরই পাকিস্তান যাবে অস্ট্রেলিয়াতে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথাও মাথায় রাখতে হবে। অন্তত আগামী দু’বছরের কথা মাথায় রেখে অধিনায়ক বেছে নিতে হবে নির্বাচকদের। বাবরকে যে বিশ্বকাপের পরে আর অধিনায়ক রাখা হবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
বিশ্বকাপে পর পর তিনটি ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে তাদের। যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের বোর্ড কর্তারা। এক কর্তা বলেন, “পাকিস্তান যদি আগামী সব ক’টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠতে পারে, তা হলেই এক মাত্র বাবরের নেতৃত্ব বাঁচতে পারে। তাতেও হয়তো বাবরকে শুধু লাল বলে অধিনায়ক করে রাখা হবে। সাদা বলের নেতৃত্ব থাকবে না।”
বাবরের কাছেও সেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। তাই বিশ্বকাপে যদি পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠতে না পারে, তা হলে বাবর নিজেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। ওই কর্তা বলেন, “বাবরকে সব রকম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। অধিনায়ক হিসাবে ও নিজেই দলের ক্রিকেটারদের বেছে নিতে পারত। কখনও ওর কোনও কাজে বাধা দেওয়া হয়নি। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে খারাপ ফলের সব দায় বাবরের। সেই কারণেই ওকে আগামী দিনে অধিনায়ক রাখা হবে না।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা উল হক এবং মহম্মদ হাফিজ় বিশ্বকাপের আগে বাবরকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাবর সে সব শোনেননি। তিনি নিজে ১৮ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেন। বাবরের বেছে নেওয়া দলই মেনে নেন নির্বাচক ইনজামাম উল হক।
বাবরকে বাদ দিলে অধিনায়ক কে? তিনটি নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। তাঁরা হলেন সরফরাজ আহমেদ, মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে অধিনায়ক করা হতে পারে। বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, “সরফরাজকে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হতে পারে। শাহিনকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।” উল্লেখ্য, সরফরাজ বিশ্বকাপের দলেই নেই। তিনি এক সময় অধিনায়ক ছিলেন। বাবরকে সরিয়ে আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
শুধু অধিনায়ক নন, বিশ্বকাপের পর চাকরি যেতে পারে কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদেরও। বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ় খেলতে যাবে পাকিস্তান। সেখানে নতুন অধিনায়ক এবং কোচদের দেখা যেতে পারে। ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাবরকে। ২০২১ সালে তাঁকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy