বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র
এখন গোটা বছরে ক্রিকেটবিশ্ব জুড়ে প্রচুর টি-টোয়েন্টি লিগ দেখা যায়। প্রতি দিনই সেই সংখ্যাটা বাড়ছে। গুণমানে, অর্থে এবং কৌলিন্যে বাকি সব লিগের থেকে এগিয়ে আইপিএল। এই লিগে খেলার জন্যে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের প্রায় সব ক্রিকেটার। সত্যিই কি সবাই? না। ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন মিচেল স্টার্ক। যেমন জো রুট। যেমন চেতেশ্বর পুজারা। আইপিএলে একেবারেই খেলেননি কোনও দিন, তা নয়। কিন্তু আইপিএল বনাম দেশ এই দ্বন্দ্ব সামনে এলে, চোখ বুজে দেশের হয়ে খেলার জন্যে তৈরি থাকবেন। অনায়াসে ছেড়ে দেবেন কোটি কোটি টাকার প্রলোভন।
গত আট বছরে স্টার্ক আইপিএলে খেলেননি। এ বার খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার আগে হঠাৎই নিলাম থেকে নাম তুলে নেন। হারান বিরাট অর্থ আয়ের সুযোগ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারের বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাতে। তাঁর মতে, টাকা আসবে যাবে। কিন্তু দেশের হয়ে খেলার যে গৌরব, তার সঙ্গে কিছুতেই আপস করা যাবে না। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কি একটু স্টার্কের মতো ভাবতে পারেন না?
স্টার্ক অক্লেশে বলে দিতে পারেন, “আইপিএল খেলা নয়, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।” এখনকার দিনে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা কি ভাবেন এমন কথা? স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিসা হিলি অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের নতুন অধিনায়ক। পেশার কারণে এমনিতেই দু’জনে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না। তাই স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে লক্ষ লক্ষ ডলারের নিশ্চিত উপার্জন ছেড়ে দিতেও সমস্যা নেই স্টার্কের। শুধু সেটাই নয়, ব্যাগি গ্রিনেরও আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। সেই কারণেই বলছেন, “অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নামলে নিজের সেরাটাই দিতে চাই। তার জন্যে সঠিক ভাবে প্রস্তুত হওয়া আমার কাজ। আবার আইপিএল খেলতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ছোটবেলা থেকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেরা ক্রিকেট খেলা আমার লক্ষ্য। যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন।”
তাঁর যা ছন্দ এবং অভিজ্ঞতা, তাতে অনায়াসে ১০ কোটি বা তারও বেশি দাম পেতেন। কিন্তু টাকা কোনও দিনই তাঁর কাছে বড় নয়। আসল হল ব্যাগি গ্রিনের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখা। বলেছেন, “আমার কোনও আক্ষেপ নেই। টাকা তো আসবে যাবে। কিন্তু দেশের হয়ে যে সুযোগ পাচ্ছি সেটা কাজে লাগানোই আমার কাছে আসল। অস্ট্রেলিয়া একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে। এত দিনে ৫০০ জনেরও কম ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আমি তার মধ্যে থাকতে পেরে গর্বিত। আমার কাছে এই অনুভূতির সঙ্গে বাকি কিছুর তুলনা হয় না। আইপিএল উপভোগ করেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আমার কাছে সব সময় সবার উপরে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy