কালো আর্মব্যান্ড পরে খোয়াজা। ছবি: টুইটার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হাতে কালো রংয়ের আর্মব্যান্ড পরায় আইসিসি তিরস্কার করেছিল উসমান খোয়াজাকে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি-র কাছে আবেদন করলেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটার। তাঁর দাবি, যে কারণে তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে তা ভুল। কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে নয়। তিনি কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন নিকটাত্মীয়কে হারানোর দুঃখে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে খোয়াজা বলেছেন, “পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন আইসিসির তরফে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন কালো আর্মব্যান্ড পরেছি। সে দিনই জানিয়েছিলাম এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এই কাজ করেছি। অন্য কোনও কথা বলিনি। আইসিসি-র নিয়মকে আমি সমীহ করি। কিন্তু এই শাস্তির বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মনে হয়, শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ধারাবাহিকতা দেখানোর দরকার তা দেখায়নি আইসিসি। জুতো পরার কারণ অন্য ছিল মানছি। কিন্তু কালো আর্মব্যান্ড পরার জন্য যে শাস্তি হয়েছে তা হাস্যকর।”
নিয়মের যথেষ্ট ব্যবহার না করায় আইসিসি-কে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আগে সব নিয়ম মেনেছি। ব্যাটে স্টিকার লাগিয়েছি, জুতোয় নাম লিখেছি অন্যের, আরও অনেক কিছু করেছি যার জন্য কোনও দিন তিরস্কৃত হতে হয়নি।” জুতোয় যে বাক্যগুলি লেখা ছিল তাতেও যে রাজনৈতিক বার্তা ছিল তা স্বীকার করেননি খোয়াজা। বলেছেন, “আমার কোনও বার্তা নেই। আমি যা মনে করি সেটাই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি। যতটা সমীহ করা দরকার ততটাই করেছি।”
তিরস্কার করে আইসিসি জানিয়েছিল, নিয়ম ভেঙেছেন খোয়াজা। কালো ব্যান্ড জাতীয় কিছু পরে নামার আগে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তা নেননি খোয়াজা। তিরস্কার করা হলেও খোয়াজার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে কোনও বাধা নেই। এমন ভুল ১২ মাসের মধ্যে চার বার করলে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। তবে এমন কিছু যে হবে তা খোয়াজাও জানতেন।
উসমান খোয়াজার জুতোয় লেখা ছিল, “স্বাধীনতা মানুষের অধিকার” এবং “সব মানুষের জীবনের দাম সমান।” গাজ়া হামলার কথা মাথায় রেখেই এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সেই জুতো পরার কথা ভেবেছিলেন খোয়াজা। কিন্তু আইসিসি-র নিয়মের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। আইসিসি-র উপর ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন অসি ক্রিকেটার।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী কোনও রকম রাজনৈতিক বার্তা ক্রিকেটারেরা মাঠের মধ্যে কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না। খোয়াজা বলেছিলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক বার্তা লিখিনি। আমি কারও পক্ষ নিয়েও কথা বলিনি। আমার কাছে সকলেই সমান। মুসলিম হোক বা জিহু বা হিন্দু সকলেই এক। আমি তাঁদের হয়ে কথা বলছি, যাঁরা নিজেদের কথা বলতে পারছে না। অবলা শিশুদের কাঁদতে দেখলে আমার কষ্ট হয়। আমার দুই মেয়ের যদি এমন অবস্থা হত? জন্মের সময় তো আর কেউ ঠিক করতে পারে না, সে কোথায় জন্ম নেবে। কিন্তু যখন দেখি পৃথিবী কারও কারও থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন কষ্ট হয়। আইসিসি আমাকে বলেছে যে, এই জুতো পরতে পারব না। ওদের মনে হয়েছে এটা রাজনৈতিক বার্তা। আমি যদিও সেটা বিশ্বাস করি না। তবে আইসিসি যখন বলেছে, আমি সেই নির্দেশ মেনে চলব। ওই জুতো পরব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy