মিচেল মার্শ। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা রেখে ছবি তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ। বিশ্বকাপ ফাইনালের ১১ দিন পর মুখ খুলে তিনি জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে আবার একই কাজ করতে পারেন। সমাজমাধ্যমে প্রবল সমালোচনা হলেও মার্শ মনে করেন না কোনও অন্যায় করেছেন।
বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা তুলে প্রবল সমালোচিত হলেও পরোয়া করছেন না মার্শ। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তা হলে কি আবার এমন কাজ করবেন আপনি? উদ্ধত মার্শ বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, সম্ভবত করব।’’ তাঁর এই উত্তর থেকেই বোঝা যায়, বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা রাখার মধ্যে তিনি কোনও অন্যায় বা বিতর্কের কিছু দেখছেন না। বিশ্বকাপ ট্রফির কোনও সম্মানও নেই তাঁর কাছে। তিনি বিন্দুমাত্র অনুতপ্তও নন।
একটি সংবাদমাধ্যমকে মার্শ বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মান করার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। ওই ছবিটা নিয়ে তেমন কিছুই ভাবিনি। শুনেছি সমাজমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। খুব একটা সমাজমাধ্যম দেখি না আমি। শুনেছি ছবিটা ভাইরাল হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।’’
মার্শের ওই ছবি দেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মহম্মদ শামিও মুখ খুলেছিলেন। ভারতের জোরে বোলার বলেছিলেন, “আমি ছবিটা দেখে কষ্ট পেয়েছি। এই ট্রফির জন্য বিশ্বের এত দেশ লড়াই করে। এই ট্রফিকে সবাই মাথার উপর তুলে ধরতে চায়। সেই ট্রফির উপরেই পা রাখার ছবি আমাকে খুশি করতে পারে না।”
শামি কিছু ভুল বলেননি। কারণ দেশের হয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বুকে আঁকড়েই ছোট থেকে বড় হন ক্রীড়াবিদেরা। একটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেন তাঁরা। প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেন। পরিবার-পরিজনদের থেকেও দূরে থাকতে হয় এ জন্য। বিশ্বকাপ জিতলে ট্রফিকে আদরে আদরে ভরিয়ে দেন তাঁরা। আবার জিততে না পারলে হতাশায় ডুবে যান।
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারেরা বোধহয় এ সবের বাইরে। তাঁদের কাছে বিশ্বকাপ ট্রফিরও কোনও কদর নেই। মার্শের বিশ্বকাপের উপর পা তুলে রাখার ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজে। সে সময় মার্শের ডান হাতে ছিল পানীয়ের বোতল এবং বাঁ হাত ছিল মুষ্টিবদ্ধ। অর্থাৎ, একটা দেখিয়ে দিলাম মনোভাব ফুটে উঠেছিল তাঁর মধ্যে। এবং সুযোগ হলে আবার বিশ্বকাপের উপর পা তোলার ব্যাপারেও দ্বিধা নেই মার্শের। বিশ্বকাপের ট্রফি বোধহয় অসি ক্রিকেটারের কাছে সত্যিই ফেলনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy