ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র।
লখনউয়ে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২১০ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে তাঁকে যে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তা মানতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। চতুর্থ ওভারেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।
শ্রীলঙ্কার দিলশান মদুশঙ্কের বল ওয়ার্নারের প্যাডে লাগে। একটু খাটো লেংথের বল ছিল। লেগের দিকে যাচ্ছিল বলটি। আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের মনে হয়েছে বল উইকেটে লাগত। তাই তিনি আউটের সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু ওয়ার্নার মনে করেন বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে চলে যেত। তাই তিনি রিভিউ করেন। সেখানে দেখা যায় বল উইকেটে লাগতেও পারত আবার বাইরেও যেতে পারত। মাঠের আম্পায়ার যেহেতু আউট দিয়েছিলেন, তাই আউটের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। তাতেই রেগে যান ওয়ার্নার। প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সাজঘরে ঢোকার সময় মাটিতে ব্যাট আছড়াতে দেখা যায়।
এ বারের বিশ্বকাপে এই প্রথম নয়, আগেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গিয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মার্কাস স্টোইনিসকে দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন উইলসন। তবে সে বার তিনি নট আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নেয়। সেখানে দেখা যায় বল গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে গিয়েছে। তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বল যদি ব্যাট ধরে রাখা হাতের গ্লাভসে লেগে ক্যাচ হয়, তবেই আউট। কিন্তু স্টোইনিসের যে হাতে বল লাগে সেটির সঙ্গে কোনও ভাবে ব্যাটের ছোঁয়া ছিল না। সেই কারণেই বিতর্ক তৈরি হয়।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি হেরে যায়। অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে। ওয়ার্নার আউট হলেও মিচেল মার্শ অর্ধশতরান করেন। জস ইংলিসও ৫৮ রান করেন। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম পয়েন্ট পেল অস্ট্রেলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy