শতরানের পর ট্রেভিস হেড। ছবি: পিটিআই।
চোটের কারণে বিশ্বকাপে প্রথম দিকে খেলতে পারেননি। তার পরেও কেন ট্রেভিস হেডকে দলে রেখে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, সেটা তিনি মাঠে ফিরেই বুঝিয়ে দিলেন। ধর্মশালার মাঠে শনিবার সকালেই তাণ্ডব শুরু করেন হেড। মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান করেন। এ বারের বিশ্বকাপের দ্রুততম অর্ধশতরান এটি। থামলেন ১০৯ রানে।
ট্রেভিস হেড এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনার। তাঁর সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের জুটি যে কোনও দলের কাছেই বেশ ভয়ের। বিশ্বকাপে শনিবার প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন হেড। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন। লেগ সাইডে বেশি শক্তিশালী তিনি। ম্যাট হেনরিকে সেই দিকে পর পর দু’টি ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দিলেন চোটের জন্য বাইরে থাকলেও ফর্ম হারাননি। মিচেল স্যান্টনারের মাথার উপর দিয়ে একটি ছক্কা মারেন। পেসার, স্পিনার কোনও আক্রমণেই বশ মানছিলেন না হেড। তাঁর এই ইনিংস বাকি দলগুলির কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল।
এ বারের বিশ্বকাপে দ্রুততম অর্ধশতরান হলেও অন্যান্য বিশ্বকাপ মিলিয়ে হেডের এই ইনিংস খুব উপরে নেই। বিশ্বকাপে দ্রুততম অর্ধশতরান ব্রেন্ডন ম্যাকালামের। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ১৮ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন ২০১৫ সালে। সেই রেকর্ড এখনও পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি।
হেড ৫৯ বলে শতরান করেন। এ বারের বিশ্বকাপে দ্রুততম শতরানের তালিকায় এটি তিন নম্বরে। ৪০ বলে শতরান করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৯ বলে শতরান করেছিলেন এডেন মার্করাম। তাঁদের টপকাতে না পারলেও এ দিন হেডের ইনিংস কিছু কম বিধ্বংসী ছিল না। তাঁকে দেখে মনেই হচ্ছিল না যে, চোটের কারণে প্রায় দেড় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ১৫ সেপ্টেম্বর সেঞ্চুরিয়ানে সেই ম্যাচ খেলতে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন হেড। বিশ্বকাপের আগে যা চাপে ফেলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। এখন অবশ্য স্বস্তিতে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
হেড এবং ওয়ার্নার মিলে ১৭৫ রানের জুটি গড়েন। তাঁদের দাপটে প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১১৮ রান। তবে দুই ওপেনারই আউট হয়ে গিয়েছেন। হেড করেন ১০৯ রান। তাঁর ৬৭ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং সাতটি ছক্কা। ওয়ার্নার ৬৫ বলে ৮১ রান করেন। তিনি পাঁচটি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy