প্রতিপক্ষ: ছন্দে রয়েছেন ম্যাক্সওয়েল ও ডুসেন। ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অতীতের ব্যর্থতা ভুলে তাদের প্রথম সারির ব্যাটারেরা দুর্দান্ত ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন। এমনটাই আশা অস্ট্রেলীয় দলের। আজ, শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ কিছুটা হলেও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ধারে এবং ভারে পিছিয়ে। ফলে চাপমুক্ত এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনতে সমস্যা হবে বলে মনে করছে না অস্ট্রেলীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত খেতাব জয় করা হয়ে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়ার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজ়িল্যান্ড, ভারত ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে হেরেছে তারা। সাদা বলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাত্র পাঁচটি ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। হেরেছে ১৩টি ম্যাচে। এই ১৮ ম্যাচের বেশির ভাগ খেলা কিংবা সফর থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির ব্যাটারেরা।
যেমন ডেভিড ওয়ার্নার বর্তমানে তাঁর সেই বিধ্বংসী ছন্দে খেলতে পারছেন না। আইপিএলে সে ভাবে ছন্দে খেলতে পারেননি। এই প্রতিযোগিতায় তিনি দল থেকে দ্বিতীয় বার বাদ পড়েন গত মাসে দুই ম্যাচে শূন্য ও দুই রান করে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাক্কালে অস্ট্রেলিয়া যে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, সেখানেও তিনি আউট হয়েছেন শূন্য ও এক রানে। তা সত্ত্বেও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়ার্নার প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন, এ কথা ভেবেই, তাঁকে দলে রেখেছেন অস্ট্রেলীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সম্প্রতি হাঁটুর অস্ত্রোপচার করিয়ে সুস্থ হওয়ার পরে দলে ফিরলেও সে ভাবে ম্যাচের মধ্যে ছিলেন না। সহ-অধিনায়ক প্যাট কামিন্স গত এপ্রিলে আইপিএলের প্রথম পর্বের পরে আর ম্যাচ খেলেননি। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও এসেছেন, দলের অন্যদের চেয়ে পরে।
অস্ট্রেলিয়া দলের আরও একটি বড় সমস্যা হল স্পিনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা। তাদের একমাত্র ভরসা হল শক্তিশালী মাঝের সারির ব্যাটারেরা। যে তালিকায় রয়েছেন স্টিভ স্মিথ, ছন্দে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল মার্শ ও অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্বমূর্তি ধারণ করে যে কোনও দিনে ম্যাচ জেতানোয় তাঁদের জুড়ি মেলা ভার।
পাশাপাশি বোলিং শক্তিতেও বিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। আমিরশাহির স্পিন সহায়ক পিচে তুরুপের তাস হতে পারেন স্পিনার অ্যাশ্টন আগার, অ্যাডাম জ়াম্পারা। এ ছাড়াও পেস বোলিং বিভাগে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, কেন রিচার্ডসন এবং জশ হেজ়লউড।
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা যদিও এই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবে। সম্প্রতি গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সিরিজ় জিতেছে তারা। এ ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচের দু’টিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে কোনও তারকা সে অর্থে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy