কোহলী আউট হয়ে গেলেন ৩৫ রানে। ফাইল ছবি
বিরাটকে ব্যাট হাতে মাঠে দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ হওয়ায় একটা বাড়তি আকর্ষণ ছিল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিরাটের শততম। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি তিন ধরনের ক্রিকেটেই ১০০ বা তার বেশি ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে এই কীর্তি রয়েছে শুধু নিউজিল্যান্ডের রস টেলরের। সেই ম্যাচ বিরাট চেয়েছিলেন স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩৪ বলের ইনিংসে কোহলী বুঝিয়ে দেন ছন্দে রয়েছেন। কিন্তু মহম্মদ নওয়াজের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে শেষ বার মাঠে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও বিশ্রামে ছিলেন তিনি। ৪২ দিন পর ভারতের জার্সিতে ফের মাঠে বিরাট।
গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে, তখন বিরাট ছিলেন অধিনায়ক। সেই প্রতিযোগিতার পরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এর পর এক দিনের ক্রিকেট থেকেও বিরাটকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধিনায়কত্ব থেকে। এই বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। মুকুটহীন বিরাট নিজের ব্যাটিংয়ে মন দিতে চান। এশিয়া কাপে নামার আগে ৩৩ বছরের বিরাট বলেন, “১০ বছরে এই প্রথম বার আমি এক মাস ব্যাট ছুঁইনি। শরীর বলছিল থামতে। একটু পিছিয়ে যেতে। কিচ্ছু ভাল লাগত না।”
২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে শেষ বার শতরান দেখা গিয়েছিল বিরাটের ব্যাটে। এর পর ধীরে ধীরে ছন্দহীন দেখিয়েছে তাঁকে। কোনও ধরনের ক্রিকেটেই রান পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই খরা কাটাতে ক্রিকেট থেকে দূরে সরেন বিরাট। তিনি বলেন, “আমি এমনিতে মানসিক ভাবে খুব শক্ত। কিন্তু সব কিছুর একটা সীমা আছে। সেটা ছাড়িয়ে গেলে তার ফল খুব খারাপ হয়। তাই কখনও একটু থেমে যেতে হয়।”
বিরাট থেমেছিলেন। রবিবার মাঠে নামলেন। দেখলেন। কিন্তু জয় করতে পারলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy