রাহুলকে দলে নেওয়া, বিষ্ণোইকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। —ফাইল চিত্র
ন’মাস পরে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন তিনি। পর পর চার ম্যাচে বড় রান করতে পারেননি। তার পরেও লাগাতার দলে সুযোগ পাচ্ছেন লোকেশ রাহুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভমন গিল, ঈশান কিশন, ঋষভ পন্থ, সূর্যকুমার যাদবকে দিয়ে ওপেন করানো হয়েছে। তা হলে কেন রাহুল দলে ফিরতেই তিনি ওপেনার? প্রশ্ন উঠছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সব থেকে সফল রবি বিষ্ণোইকেই বাদ দেওয়া হল পরের ম্যাচে। কেন?
এশিয়া কাপের আগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন রাহুল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাঁচীতে করেছিলেন ৬৫ রান। তার পরে দীর্ঘ ন’মাস দলের বাইরে রাহুল। এর মাঝে আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আইপিএলে ৫১.৩৩ গড়ে ৬১৬ রান করেছেন। তার মধ্যে দু’টি শতরান রয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলে সেই ছন্দ দেখাতে পারেননি ভারতের সহ-অধিনায়ক।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বলে শূন্য রান করে আউট হয়েছেন রাহুল। দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে করেছেন ৩৬ রান। সুপার ফোর-এর প্রথম ম্যাচে সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ২০ বলে ২৮ রান করেছেন রাহুল। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাত বলে ছয় রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ভারতীয় ওপেনার।
বার বার ব্যর্থ হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে রাহুলের মানসিকতা নিয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যখন রাহুল এত ভাল ছন্দে খেলেন, তা হলে দেশের জার্সিতে কী হয় তাঁর? ভারতীয় দলে ঢোকার জন্য যেখানে এত জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন সেখানে কেন রাহুলকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যদি রাহুলকে ওপেন করানো হয়, আর তিনি রান না পান, তা হলে কিন্তু আবার ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হবে ভারতীয় দলকে।
এ বারের এশিয়া কাপে গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে সুযোগ পেয়েছেন বিষ্ণোই। তরুণ বিষ্ণোই নিজের চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। বাবর আজমকে আউট করে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন তিনিই। শেষ ওভারে আসিফ আলির ক্যাচ অর্শদীপ সিংহ না ফস্কালে আরও একটি উইকেট পেতেন তিনি। যেখানে ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্য, যুজবেন্দ্র চহালের মতো অভিজ্ঞ বোলাররা চার ওভারে ৪০ রানের বেশি দিয়েছেন সেখানে বিষ্ণোইয়ের বোলিং প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সেই বিষ্ণোইকেই পরের ম্যাচে বসতে হল।
টসের পরে রোহিত জানিয়েছেন, পিচ ও প্রতিপক্ষ অনুযায়ী দলে বদল করেছেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার দলে টপ ও মিডল অর্ডারে কয়েক জন বাঁ হাতি ব্যাটার রয়েছেন। হতে পারে সেই কথা ভেবে অশ্বিনকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি শুধু খেলার কথা ভাবা হত তা হলে চহালকেও তো বসানো যেত। কারণ, চহাল ও বিষ্ণোই দু’জনেই ডান হাতি লেগ স্পিনার। তা হলে কেন বসানো হল বিষ্ণোইকে? প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy