বিশ্রাম নেওয়ার কারণ জানালেন কোহলী। ছবি: রয়টার্স
ইংল্যান্ড সফরের পর প্রায় এক মাস বিশ্রাম নিয়েছিলেন বিরাট কোহলী। তার পর খেলতে এসেছেন এশিয়া কাপে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করছেন, এক মাসের বিশ্রামই তাঁকে নতুন ভাবে ফিরিয়ে এনেছে। রবিবার পাকিস্তান ম্যাচের পর আবার বিশ্রাম বিতর্ক নিয়ে সোজাসাপ্টা জবাব দিলেন কোহলী।
কেন হঠাৎ বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিলেন? কোহলী বলেছেন, ‘‘কোনও দিন ভাবতে পারিনি যে এক মাস ব্যাট স্পর্শ করব না। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যে বিশ্রামটা আমার খুব দরকার ছিল। শারীরিক ভাবে প্রয়োজন না থাকলেও মানসিক বিশ্রাম জরুরি ছিল।’’ তাঁর দাবি, বিশ্রাম নেওয়ার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। চাইলে যে কেউই বিশ্রাম নিতে পারে।’’
এক মাস পর ব্যাট হাতে নিয়ে কী মনে হয়েছে? কোহলী বলেছেন, ‘‘এক মাস পর যখন আবার ব্যাট করতে শুরু করলাম, তখন নতুন করে উপলব্ধি করলাম কেন খেলতে শুরু করেছিলাম। অনেক সময়ই আমরা সেই অনুভূতিটা হারিয়ে ফেলি। খেলতে খেলতে নাম হয়। পরিচিতি তৈরি হয়। মাঠে নামলেই দর্শকরা নাম ধরে চিৎকার করেন। এ সবের মধ্যে আসল বিষয়টাই অনেক সময় হারিয়ে যায়। খেলার আসল আনন্দটাই হারিয়ে যায়। সেটাই খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম। মনের আনন্দে যাতে আবার খেলতে পারি, সেই চেষ্টাই করেছি। কারণ, জানি খুশি মনে খেলতে পারলে দলের জন্য কী করতে পারি। ওই পরিস্থিতিটা আমার বা দলের জন্য কখনই ভাল ছিল না।’’
খারাপ সময় কী ভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তাও জানিয়েছেন কোহলী। তিনি বলেছেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি থেকে কখনও পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। দূরে সরে গেলে লাভ হয় না। নেতিবাচক ভাবনা এলে বা আত্মবিশ্বাস কম মনে হলেও পালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। আমি মনে করি, বিশ্রাম মানুষকে নতুন শক্তি দেয়। মনের মধ্যে যাই চলুক, সেটা ঠিক মতো বোঝা যায়। আমরা সবাই মানুষ। সকলেরই এমন হতে পারে। এই ধরনের বিষয়গুলোকে অবহেলা করলে হতাশা আরও বাড়ে। বরং, সমস্যা চিহ্নিত করে সেই মতো কাজ করা দরকার। বিশ্রাম আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমি খুশি এবং উত্তেজিত। আবার মনের আনন্দে খেলতে পারছি। খেলাটা উপভোগ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy