শুক্রবার লর্ডসে অর্ধশতরানের পর খোয়াজা। ছবি: আইসিসি।
অ্যাশেজ সিরিজ়ের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সদের প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রানের জবাবে বেন স্টোকসদের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৩২৫ রানে। জবাবে তৃতীয় দিনর শেষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ২ উইকেটে ১৩০। বৃষ্টির জন্য শেষ এক ঘণ্টা খেলা সম্ভব হয়নি শুক্রবার। চা বিরতির পর খেলা হল ১৩.৪ ওভার। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে রয়েছে ২২১ রানে।
ইংল্যান্ডকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৩২৫ রানে অলআউট করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। লন্ডনের আকাশ শুক্রবার সকাল থেকেই মেঘলা। পেসাররা সাহায্যও পাচ্ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং উসমান খোয়াজাকে নড়াতে পারলেন না তাঁরা। এই অস্ট্রেলিয়া দল ‘বাজ়বল’ (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যেহেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) ঘরানায় বিশ্বাস করে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার পক্ষপাতী তারা। অহেতুক তাড়াহুড়ো না করে তাঁরা বল অনুযায়ী খেলছিলেন।
খোয়াজা দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ৫৮ রানে। তাঁর মনঃসংযোগ টলাতে পারেননি ইংরেজ পেসারেরা। এ দিন খোয়াজা মারার বল মারছিলেন। আবার কিছু বল ধরে খেলছিলেন। সব মিলিয়ে জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ড ব্রড এবং জশ টাংয়ের ত্রিফলা আক্রমণের সামনে খুব একটা বিব্রত হতে দেখা গেল না তাঁকে। ২২ গজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ (অপরাজিত ৬)। প্রথম উইকেটে ৬৩ রান উঠে যায় অস্ট্রেলিয়ার। তার পরেই ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। টাংয়ের বল অসি ব্যাটারের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার আউট দিলেও ওয়ার্নার রিভিউ চান। কিন্তু রিভিউয়ে (মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও দলের আবেদন) দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগছে। বড় রান পেলেন না মার্নাস লাবুশেন। ৩০ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
এর আগে, তৃতীয় দিন মেঘলা আকাশের নীচে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৩২৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ৯১ রানে পিছিয়ে শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। শেষ ছ’উইকেট পড়ে ৪৭ রানে। অস্ট্রেলিয়াকে হাত ঘোরাতে হয়েছে ১৫.২ ওভার।
দ্বিতীয় দিনে ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন ব্রুক এবং বেন স্টোকস। এক সময় মনে করা হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান অনায়াসে পেরিয়ে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু এ দিন শুরু থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংরেজদের ইনিংস। কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি।
নেথান লায়নকে হারিয়ে এমনিতেই একটু চাপের মধ্যে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বল হাতে কোনও পার্থক্য দেখা গেল না। শুরুতেই বেন স্টোকসকে তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। অর্ধশতরান করেই ফিরে যান ব্রুক। ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তিনিও মাত্র ১৬ রানে ফিরে যান। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস দেখলে বোঝা যাবে, একমাত্র জাক ক্রলি বাদে প্রত্যেকের স্ট্রাইক রেট ১০০-র থেকে বেশ কম। অর্থাৎ ‘বাজ়বল’-এর ঘরানা অনুযায়ী অতি আগ্রাসী হয়ে খেলতে যাননি কেউ। তাতেও খুব একটা লাভ হল না। সাবধানী হয়ে খেলতে গিয়ে ইংল্যান্ড আরও বিপদে পড়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy