স্টিভ স্মিথ। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে আবার উঠল প্রতারণার অভিযোগ। যে অভিযোগ ঘিরে সরগরম অ্যাশেজ সিরিজ়ের প্রথম টেস্ট। ইংরেজদের কাঠগড়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
ঘটনাটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে। বোলার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাটার ছিলেন জ্যাক ক্রলি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া কামিন্সের বলের কাছে ব্যাট নিয়ে গেলেও সংযোগ করতে পারেননি ক্রলি। ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। ক্যাচ আউটের জন্য অস্ট্রেলিয়া একাধিক ক্রিকেটার আবেদন করলেও উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি ক্যারির মধ্যে। সে সময় স্লিপে ফিল্ডিং করছিলেন স্মিথ। তাঁর উচ্ছ্বাস ছিল কিছুটা বেশি। তিনি আম্পায়ারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ক্যাচ আউট হয়েছেন। মাঠের আম্পায়ার অবশ্য অস্ট্রেলীয়দের আবেদনে সাড়া দেননি।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন স্মিথ। কামিন্স ডিআরএস নেবেন কিনা, পরামর্শ চান উইকেটরক্ষকের কাছে। ক্যারি আগ্রহ দেখাননি। যদিও স্মিথ তখনও দাবি করে যাচ্ছিলেন ক্রলি আউট হয়েছেন। সহ-অধিনায়কের আত্মবিশ্বাস দেখে কিছুটা বিভ্রান্ত হন কামিন্স। কিন্তু মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটের কাছ দিয়ে গেলেও স্পর্শ করেনি। এর পর আর ডিআরএস নেওয়ার কোনও প্রশ্ন ছিল না।
এই ঘটনার পরেই বার্মিংহামের দর্শকদের কটাক্ষের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ‘চিটার’, ‘চিটার’ করে চিৎকার করতে শুরু করেন গ্যালারির ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। ক্রিকেট বিশ্বে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা পরিচিত ‘বার্মি আর্মি’ নামে। সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের ওই অংশের ভিডিয়ো। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা জোচ্চুরি করতে অভ্যস্ত। এখনও সেই অভ্যাস ধরে রেখেছেন তাঁরা। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে স্মিথের ‘স্যান্ড পেপার’ কাণ্ডের কথা। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সততা নিয়েও।
Aussies appeal but don’t go for the review ❌
— England's Barmy Army 🏴🎺 (@TheBarmyArmy) June 18, 2023
“Same old Aussies, always cheating” 😂#Ashes pic.twitter.com/9XBXhUesOM
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের শুভমন গিলের আউট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শুভমনের ক্যাচ স্লিপে পরিচ্ছন্ন ভাবে ধরেছেন বলে দাবি করেছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। টেলিভিশন রিপ্লে দেখার পর তাঁর সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তৃতীয় আম্পায়ার ভারতীয় ওপেনারকে আউট ঘোষণা করায় সেই সিদ্ধান্তও সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
অতীতে একাধিক সময় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আম্পায়ারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। অ্যাশেজেও সেই বিতর্ক সঙ্গী হল কামিন্স, স্মিথদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy