অজিঙ্ক রহাণে। ফাইল ছবি।
বিরাট কোহলী না খেলায় বছর দেড়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টে নেতৃত্ব দেন অজিঙ্ক রহাণে। সেই টেস্টে দর্শকদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিশেষত যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজকে উদ্দেশ্য করে নানারকম কটূক্তি উড়ে আসে দর্শকদের মধ্যে থেকে। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন রহাণে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে রহাণে টেস্টের আম্পায়ারদের বলতে বাধ্য হন, গ্যালারিকে সামলাতে না পারলে তাঁদের পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। কারণ সিডনির গ্যালারি থেকে নাগাড়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য উড়ে আসছিল ভারত ফিল্ডিং করার সময়। রহাণে বলেছেন, ‘‘যাঁরা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছিলেন, তাঁদের মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।’’
সিডনির টেস্টে অভিজ্ঞতা একদমই সুখকর ছিল না ভারতীয় দলের। এক সাক্ষাৎকারে রহাণে জানিয়েছেন, দুই আম্পায়ার পল রাইফেল এবং পল উইলসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন তিনি। সতীর্থদেরও বলেন, ওই পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা খেলতে না চাইলে সাজঘরে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু, সেই পরিস্থিতিতেও শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ টেস্ট খেলেই মাঠ ছেড়েছিল ভারতীয় দল।
রহাণে বলেছেন, ‘‘চতুর্থ দিনে সিরাজ যখন আমার কাছে এসে অভিযোগ জানাল, সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারদের বলি ব্যবস্থা নিতে। সাফ জানাই, যতক্ষণ না ব্যবস্থা নেওয়া হবে ততক্ষণ আমরা খেলব না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আম্পায়াররা আমাকে বলেন, ‘তোমরা চাইলে না খেলতেই পার। মাঠ ছাড়তে পার। কিন্তু এ ভাবে খেলা বন্ধ রাখতে পার না।’ উত্তরে বলেছিলাম, আমরা এখানে খেলতে এসেছি। সাজঘরে বসে থাকতে আসিনি। যাঁরা খারাপ মন্তব্য করছিলেন, তাঁদের মাঠ থেকে বের করে দিতে বলেছিলাম। সতীর্থদের যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল, সে সময়ও ওদের পাশে থাকা জরুরি ছিল। সিডনির ওই ঘটনা কখনই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’’
রহাণের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তিনি মেলবোর্ন এবং অ্যাডিলেডের দর্শকদের ব্যবহারে খারাপ কিছু দেখেননি বলে জানিয়েছেন। অভিজ্ঞ অফ স্পিনার বলেছেন, ‘‘মেলবোর্ন এবং অ্যাডিলেডের দর্শকরা খারাপ ছিলেন না। কিন্তু সিডনির বিষয়টা একদম অন্যরকম ছিল। এটাই আমার অভিজ্ঞতা শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরের।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘একটা দেশের জনগণের নির্দিষ্ট কিছু অংশ এমন করলে হয়তো সত্যিই তেমন কিছু করার থাকে না। সকলেই আসলে মনে করেন তাঁরাই বৃহত্তর অংশ। যাঁরা বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন, তাঁরাও একইরকম ভাবেন। তাঁরা হয়তো মনে করেন, অন্যদের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য বোঝানোর এটা একটা উপায়। সচেতনতা এবং শিক্ষাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।’’ অশ্বিনের দাবি, সিডনিতে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার সেখানকার দর্শকরা এমন ব্যবহার করেছেন সফরকারী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy