ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে আফগানিস্তানকে দেখা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই আফগানিস্তানকে দেখা গেল না। জস বাটলারদের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম জ়াদরানের ব্যাট থেকে যে ইনিংস এসেছিল, স্টিভ স্মিথের দলের বিরুদ্ধে তেমন এল না। সঙ্গে যোগ হল পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক হশমতুল্লা শাহিদির ৪৯ বলে ২০ রানের মন্থর ইনিংস। সব মিলিয়ে শুক্রবার আফগানিস্তানের ব্যাটিং প্রত্যাশাপূরণ করতে পারল না। আফগানদের ইনিংস শেষ হল ২৭৩ রানে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হবে আফগানদের। হার মানেই বিদায়। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে যে দৃঢ়তা প্রয়োজন ছিল, তা দেখা গেল না। সেদিকুল্লা অটল এবং অজমতুল্লা ওমরজাই দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল। লাহোরের ২২ গজে প্রথম ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও অন্তত ২০ রান কম তুলল আফগানিস্তান, যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
শুরুটা এ দিনও ভাল করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথমেই ফিরে যান রহমানুল্লা গুরবাজ় (শূন্য)। আর এক ওপেনার জ়াদরানও (২৮ বলে ২২) আগের দিনের মতো খেলতে পারেননি। তার নম্বরে নেমে ভরসা দিতে পারেননি রহমত শাহও (২১ বলে ১২)। তবে তিন নম্বরে নামা সেদিকুল্লা ২২ গজে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। তবু আফগানিস্তানের ইনিংস প্রয়োজনীয় গতির অভাবে ভুগল অধিনায়কের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ নম্বরে নেমে হশমতুল্লার মন্থর ব্যাটিং দলকে চাপে ফেলে দিল। ৩৩টি ডট বল খেললেন আফগান অধিনায়ক। শোয়েব আখতারের কথায়, বাবর আজ়মের মতো টুক টুক ব্যাটিং করলেন।
আরও পড়ুন:
সেদিকুল্লার ৯৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেললেও প্রয়োজনীয় বড় রানের জুটি এ দিন তৈরি করতে পারেননি আফগানেরা। তাঁর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন অজমতুল্লা। শেষ দিকে কিছুটা চেষ্টা করেন রশিদ খানও (১৭ বলে ১৯)। অজমতুল্লা করলেন ৬৩ বলে ৬৭ রান। মারলেন ১টি চার এবং ৫টি ছক্কা। আফগান ইনিংসকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরাও। ৩৬ রান অতিরিক্ত দিলেন স্মিথেরা। ১৭টি ওয়াইড বল করলেন তাঁরা!
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার বেন ডোয়ারশুইস ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ৪৮ রানে ২ উইকেট অ্যাডাম জ়াম্পার। ৪৯ রানে ২ উইকেট স্পেনসার জনসনের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।