শনিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শতরান করার পর একটি চিরকুট তুলে ধরে উচ্ছ্বাস করেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা ছিল। ম্যাচের পর ট্রেভিস হেড জানিয়েছিলেন, ছ’টি ম্যাচে সেই চিরকুট পকেটে রেখে ঘুরছিলেন অভিষেক। সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন হায়দরাবাদের ওপেনার। জানালেন, ম্যাচের দিক সকালেই সেই চিরকুটটি লিখেছিলেন।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে হেড বলেছিলেন, “শেষ ছ’টা ম্যাচে অভিষেকের পকেটে ওই চিরকুটটা ছিল। আমরা খুশি যে আজ সেটা বার করতে পেরেছে।” যদিও অভিষেক পরে বলেন, “সত্যি বলতে, আজ সকালেই কথাগুলো লিখেছিলাম। রোজ সকালে উঠেই কিছু না কিছু লিখি। আজ হঠাৎ করে মাথায় এল, যদি ম্যাচে কিছু করতে পারি সেটা অরেঞ্জ আর্মিকে উৎসর্গ করব। আমি ভাগ্যবান যে আজই দিনটা এসেছে।”
শ্রেয়স আয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর অভিষেক জানিয়েছেন অসুস্থতার কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘চার দিন বেশ অসুস্থ ছিলাম। জ্বর ছিল। যুবরাজ সিংহ, সূর্যকুমার যাদবের মতো মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওদের মতো মানুষদের পাশে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। দু’জনেই প্রতি দিন ফোন করত। আমার শরীরের খোঁজ নিত। সাহস দিত। দু’জনেই আমাকে খুব ভরসা করে।’’ অভিষেক আরও বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা খেলতে পারব কি না বুঝতে পারছিলাম না। শারীরিক কারণে নিজেই একটু দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু ওরা দু’জন সমানে সাহস দিয়ে গিয়েছে। সমানে বুঝিয়েছে, ঠিক খেলতে পারব। ওদের মতো মানুষেরা ভরসা রাখলে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়। মনে হয়, ঠিক পারব। আমার কাছে এটা এমন একটা ইনিংস, যেটার অপেক্ষায় ছিলাম। কাঙ্ক্ষিত ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলাম।’’
আরও পড়ুন:
আইপিএলের শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে কিছুটা চাপেও ছিলেন অভিষেক। যুবরাজ এবং সূর্যকুমার সমানে সাহস জুগিয়েছেন তাঁকে। অভিষেক বলেছেন, ‘‘অবশ্যই চাপ ছিল। অস্বীকার করলে মিথ্যা বলা হবে। পর পর তিন-চারটে ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারলে এবং দল হারলে চাপ তো হবেই। সবাই নিজের মতো করে চাপ সামলানোর চেষ্টা করে। তবে আমাদের দলের মধ্যে কোনও নেতিবাচক কিছু দেখিনি। দলের কারও মধ্যে আগেই হেরে যাওয়ার মানসিকতা দেখিনি। সবাই ইতিবাচক ভাবে ভেবেছি। আগেই বলেছি আমি কী ভাবে আত্মবিশ্বাসী থাকতে পেরেছিলাম।’’
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ