মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র
২০০৭ সাল। কলকাতায় খেলতে এসেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অনুশীলন শেষে হোটেল ফেরার জন্য ইডেন গার্ডেন্সের বাইরে এসে বাসে উঠতে যাবেন, এমন সময় ছুটে আসেন এক তরুণী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে ধরেন ধোনিকে। তার পর তাঁর গালে চুমু খান। সেই ঘটনা ১৬ বছর পরেও ভুলতে পারেননি হাসিনা নাসরিন।
সেই সময় ১৮ বছর বয়স ছিল বহরমপুরের হাসিনার। এখন তিনি ৩৪ বছর যুবতী। কিন্তু এখনও তাঁর মনে হয়, এই তো সে দিনের ঘটনা। সংবাদমাধ্যমে হাসিনা বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ধোনির ১৮৩ রানের ইনিংস দেখে ওঁর ভক্ত হয়েছিলাম। ধোনির জন্মদিন ৭ জুলাই। ওঁর জন্য একটা কার্ড বানিয়েছিলাম। কিন্তু কী ভাবে দেব জানতাম না। ধোনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভেবেছিলাম এটাই সেরা সুযোগ। তাই ছুটে গিয়েছিলেন।’’
ধোনিকে চুমু খাওয়ার পাশাপাশি নিজের হাতে তৈরি কার্ডও দিয়েছিলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘ধোনিকে দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। ওঁর হাতে কার্ডও তুলে দিয়েছিলাম। ধোনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তার পর আমাকে বলেছিলেন পাশে সরে যেতে। কারণ, তত ক্ষণে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে টানতে শুরু করেছিল।’’
হাসিনার ধোনি-ভক্তি নিয়ে মুখ খোলেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। তাঁর দিদি কুহেলি বেগম বলেন, ‘‘ধোনির কোনও সমালোচনা ও সহ্য করতে পারত না। কেউ ধোনিকে খারাপ বললে তার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দিত।’’
প্রকাশ্য রাস্তায় ধোনিকে জড়িয়ে ধরার জন্য সেই সময় অনেকেই হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা ইমাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা পরিবারের সবাই ধোনির ভক্ত। তাই ধোনিকে সামনে দেখে আমার মেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরেছিল। এতে কোনও ভুল নেই। কোনও অপরাধ ও করেনি।’’
অবশ্য শুধু হাসিনা নন, ধোনিকে এক বার ছোঁয়ার জন্য সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তাঁর অবসরের পরেও রয়েছে। অনেক বার মাঠে ঢুকে পড়েছেন ভক্তেরা। অনেকে বিমানবন্দর বা অন্য কোথায় দেখা করার চেষ্টা করেছেন। ধোনিও বেশির ভাগ সময়ে তাঁর ভক্তদের নিরাশ করেননি। যেমনটা তিনি করেননি হাসিনাকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy