ফ্রান্সের কাশিম আইদারা এবং কোস্টা রিকার জনি আকোস্তা এখনও রয়েছেন কলকাতায়।
লকডাউনের মধ্যেই বাসস্থান সমস্যায় পড়েছেন ইস্টবেঙ্গলের দুই বিদেশি ফুটবলার এবং এক স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার। দলের অন্য সব ফুটবলারেরা দেশে ফিরে গেলেও কোস্টা রিকার জনি আকোস্তা এবং ফ্রান্সের কাশিম আইদারা এখনও রয়েছেন কলকাতায়। দলের কোচ মারিয়ো রিভেরা এবং অন্যান্য স্পেনীয় ফুটবলারদের সঙ্গে দেশে ফেরত যাননি ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। চুক্তির শর্ত মেনে তিনজনকেই ৩১ মে-র মধ্যে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিনিয়োগকারী সংস্থা। চিঠিতে বলা হয়েছে, চুক্তি মতো ৩১ মে পর্যন্ত ফ্ল্যাট ও খাওয়া-দাওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল কোম্পানির। সেটা এ বার শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে এই তিন বিদেশিকে। তবে শোনা গিয়েছে, আকোস্তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোস্টা রিকার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, ট্রেনার কার্লোস ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তির ভবিষ্যৎ বুঝে নিতে কলকাতায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনি আকোস্তার কোস্টা রিকায় ফেরার কোনও ব্যবস্থা এখনও হয়নি। এবং, কাশিম আইদারা ফ্রান্সের হলেও আসলে থাকেন লন্ডনে। তাঁকে প্যারিসের টিকিট দেওয়া হচ্ছিল। করোনার জেরে চারদিকে লকডাউন চলায় তিনি এখনই প্যারিস থেকে লন্ডন যেতে পারছেন না।
মোহনবাগানেরও তিন বিদেশি তাঁদের দেশে ফিরে যেতে পারেননি। আই লিগ জয়ের অন্যতম কারিগার পাপা বাবাকর দিয়োহারা, কোমরান তুর্সুনভ এবং ড্যানিয়েল সাইরাস এখনও কলকাতায় আটকে রয়েছেন। তার মধ্যে পাপার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বান্ধবী এবং বান্ধবীর ভাই। যত দিন না এদের দেশে ফেরার মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে, তত দিন সবুজ-মেরুন ক্লাব এই তিন ফুটবলারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটতে নারাজ লাল-হলুদ ক্লাব। তারা বিদেশি ফুটবলারদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কেউ এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত তাদের কলকাতা অফিসের এক কর্তার দাবি. ‘‘এখানে থেকে যাওয়া তিন জনের জন্যই সংস্থার পক্ষ থেকে টিকিট-সহ সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। ওঁরা যাননি। আমরা সব বিদেশিকেই বলেছিলাম, তোমাদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করছি। টিকিট ও বাসের ব্যবস্থা করছি। কোচ-সহ অন্য স্পেনীয়রা সবাই চলে গেলেও ওঁরা দেশে ফিরতে চাননি। ফিজিক্যাল ট্রেনার নোদারের বাড়ি মাদ্রিদে। তিনি প্রথমে রাজি হয়েও শেষ মুহূর্তে দিল্লির বাসে ওঠেননি।’’ লাল-হলুদ কর্তারাও এ ব্যাপারে কেউ সরব হয়েছেন বলে মঙ্গলবার পর্যন্ত খবর নেই।
আরও পড়ুন: ইপিএলে নতুন করে ছয় করোনা আক্রান্তের হদিশ
আরও পড়ুন: ডাবল সেঞ্চুরি করব ভাবিনি: রোহিত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy