Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

দু’ঘণ্টার পথ পৌঁছে গেলাম ৪০ মিনিটেই

ঘুম থেকে উঠে পরিচিতদের ফোন করলাম। কলকাতা থেকে আমরা যারা একসঙ্গে এসেছি, তারা সকলে ঠিক মতো বাড়ি পৌঁছেছে কি না খোঁজ নিলাম।

বিদায়: বিমানবন্দরে সঙ্গীদের সঙ্গে মারিয়ো (একেবারে বাঁ-দিকে)।

বিদায়: বিমানবন্দরে সঙ্গীদের সঙ্গে মারিয়ো (একেবারে বাঁ-দিকে)।

মারিয়ো রিভেরা  (ইস্টবেঙ্গল কোচ)
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৪:১৬
Share: Save:

দুপুর ২.০০: সকলকে বিদায় জানিয়ে মাদ্রিদ বিমানবন্দরের বাইরে পা রেখে চমকে উঠলাম। করোনা অতিমারির ধাক্কায় আমার প্রিয় শহরের ছবিটাই তো বদলে গিয়েছে। মাদ্রিদ খুবই প্রাণবন্ত শহর। সারা বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে আসেন। এখন পুরো শহরটাই ফাঁকা। বিমানবন্দর থেকে আমার বাড়ি খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু প্রবল যানজটের জন্য ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায় পৌঁছতে। বুধবার বাড়ি ফিরতে চল্লিশ মিনিটের বেশি লাগেনি! রাস্তায় গাড়ি প্রায় নেই বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েক জনকে দেখলাম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বেরিয়েছেন।

দুপুর ২.৪০: দূর থেকে বাড়িটা দেখতে পেয়েই মনটা খুশিতে নেচে উঠল। ক্লান্তি মুহূর্তের মধ্যে উধাও। বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরতে পেরেছি।

বিকেল ৩.৩০: মা ও স্ত্রী এখন গ্রানাদায়। বাড়িতে আমি একা। মধ্যাহ্নভোজ সেরে স্ত্রীকে ফোন করে বললাম, বাড়ি ফিরে এসেছি। কিন্তু আগামী পনেরো দিন তোমরা কেউ মাদ্রিদে ফিরবে না। আমাকে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।

সন্ধে ৬.০০: দুপুরে ঘুমনোর অভ্যাস আমার নেই। কিন্তু অনেক দিন পরে নিজের বাড়ির বিছানায় শোয়ার পরে আর জেগে থাকতে পারিনি। তা ছাড়া দীর্ঘ যাত্রার ধকলও ছিল। ঘুম থেকে উঠে পরিচিতদের ফোন করলাম। কলকাতা থেকে আমরা যারা একসঙ্গে এসেছি, তারা সকলে ঠিক মতো বাড়ি পৌঁছেছে কি না খোঁজ নিলাম।

(সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক অনুলিখন)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Mario Rivera Football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy