Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বল-বিকৃতিকে স্বীকৃতি দিতে পারে আইসিসি

থুতু ব্যবহার করে বল পালিশ করায় ঝুঁকির কথা তুলেছে আইসিসির মেডিক্যাল কমিটিও। বল পালিশ করা টেস্ট ক্রিকেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪৩
Share: Save:

কৃত্রিম উপায়ে ক্রিকেট বল পালিশ করার অর্থ বল বিকৃত করা। কিন্তু করোনাভাইরাস অতিমারির পরে এই নিয়ম পাল্টে যেতে পারে। কারণ থুতু ব্যবহার করে বল পালিশ করার পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বোলার বা ফিল্ডারেরাও এর পরে হয়তো এ ভাবে বল পালিশ করতে চাইবেন না। তাই কৃত্রিম পদার্থ বলের উপরে লাগিয়ে পালিশ করাকে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি।

একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আইসিসি ‘‘আম্পায়ারদের তত্ত্বাবধানে বৈধ কোনও পদার্থ দিয়ে বল পালিশ করাকে মান্যতা দেওয়ার কথা ভাবছে।’’ এখনকার নিয়ম অনুযায়ী যা নিষিদ্ধ এবং বল বিকৃতির আওতায় পড়ে। এ নিয়ে আইসিসি-র সভায় আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

থুতু ব্যবহার করে বল পালিশ করায় ঝুঁকির কথা তুলেছে আইসিসির মেডিক্যাল কমিটিও। বল পালিশ করা টেস্ট ক্রিকেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে বোলারদের সুইং পেতে সুবিধে হয়। প্রথাগত এবং রিভার্স দু’ধরনের সুইং পেতে গেলেই বলের এক দিকে পালিশ ধরে রাখা জরুরি। ক্রিকেট বিশ্বে বল-বকৃতি নিয়ে নানা সময়ে নানা তোলপাড় ঘটেছে। দু’বছর আগেও সিরিশ কাগজ ঘষে বল বিকৃত করার অভিযোগে নির্বাসিত হন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ।, ডেভিড ওয়ার্নারেরা। আইসিসি-র নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অনেকে মনে করছেন, বল-বিকৃতিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: আর্থিক ক্ষতি, লা লিগা চালু করা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু

এখনকার নিয়ম

• ম্যাচ বলে কোনও রকম পরিবর্তন করা যাবে না। যদি না খেলতে গিয়ে তা হয়। ব্যাটসম্যানও ইচ্ছে করে বল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।

• ম্যাচ বলে কোনও রকম পরিবর্তন করা হয়েছে আম্পায়ারদের সন্দেহ হলেই যে কোনও সময় তা পরীক্ষা করে দেখতে পারে।

• ফিল্ডার তার বস্ত্রের সাহায্যে বল পালিশ করতে পারে। তবে কৃত্রিম কোনও পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না।

আইসিসির ভাবনা

• করোনার জন্য থুতু ব্যবহার করে বল পালিশ করায় ঝুঁকির কথা তুলেছে আইসিসির মেডিক্যাল কমিটি। তাই আম্পায়ারের তত্ত্বাবধানে কৃত্রিম কোনও পদার্থ দিয়ে বল পালিশ করাকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে।

• পালিশ করা প্রয়োজন কেন

• বল পালিশ করা টেস্ট ক্রিকেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে বোলারদের সুইং পেতে সুবিধে হয়। প্রথাগত এবং রিভার্স দু’ধরনের সুইংই।

অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হেজলউড সম্প্রতি বলেছেন, বোলাররা বল সুইং করাতে না পারলে টেস্ট ক্রিকেট তাঁদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে। বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় সাদা বল তবু ঠিক আছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট খুব কঠিন হয়ে উঠবে। যদি ৮০ ওভার পর্যন্ত বলের অবস্থা ঠিকঠাক না রাখা যায় তা হলে প্রাথমিক পালিশ ওঠার পরে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কাজটা খুব সহজ হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন: আইপিএলের জন্য এশিয়া কাপের সূচি বদল নয়, হুঙ্কার পিসিবি-র

সবার প্রথমে এ বিষয়ে আলোকপাত করেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শামিই প্রথম বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের অতিমারির পরে থুতু লাগিয়ে বল পালিশ করার চিরন্তন প্রথা চালু রাখা সম্ভব হবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।’’ শামি আরও বলেছিলেন, ক্রিকেটে ফিরেই হয়তো এই প্রথা অনুসরণ করতে অসুবিধা হবে সকলের। ‘‘নতুন কোনও প্রক্রিয়া হয়তো চালু করতে হবে,’’ আনন্দবাজারকে বলেছিলেন শামি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Cricket ICC Ball Tampering
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy