ম্যাচ শেষের বাঁশি। কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেমার। ছবি: রয়টার্স
লিয়োনেল মেসি ছুঁয়ে ফেললেন কোপা আমেরিকা ট্রফি। নেমার পারলেন না। অধরাই থেকে গেল সেই স্বপ্ন। দেশকে অলিম্পিক্স এনে দিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণে জর্জরিত ব্রাজিলকে কোপাও দিতে চেয়েছিলেন। তা হল না। সেমিফাইনাল জিতে বলেছিলেন, “ফাইনালে বন্ধু মেসিকে দেখতে চাই। তবে জিতবে ব্রাজিলই।” মেসি ফাইনালে এলেন, জিতলেন এবং সান্ত্বনা দিলেন নেমারকে।
ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগের নেতা তিনি। আর্জেন্টিনা যে তাঁকে আটকাতে চাইবে, তা জানতেন। তৈরিও হয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু নীল-সাদা রক্ষণে আটকে গেলেন তিনি এবং ব্রাজিলের আক্রমণ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ব্রাজিল। ১৩ মিনিটের মাথায় শট নিয়েছিলেন নেমার। আটকে দেন ওটামেন্ডি। তার পর থেকে আটকেই গেলেন নেমার। তাঁকে বোতল বন্দি করে ফেলেছিল আর্জেন্টিনা। ৩৩ মিনিটের মাথায় বল পেয়ে এগোতে গেলে নেমারকে ফাউল করেন পারেদেস। ২৫ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ব্রাজিলের ‘বিস্ময় বালক’। ব্রাজিল সমর্থকদের আশা মেসির দলের বিরুদ্ধে ফ্রি কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেবেন নেমার। কিন্তু সেই শট ধাক্কা খায় নীল সাদা প্রাচীরে।
Nothing but respect for Neymar! Messi has been there 4 times ney! Greatest are those who stand tall after falling again and again! Ggs to Brazil for playing a mad 90 mins! And Neymar you have many years ahead of you! #CopaAmericaFINAL pic.twitter.com/KEPqiKgPjs
— AM. (@akm_theone) July 11, 2021
নিজে আটকে যাচ্ছেন দেখে বল বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন সতীর্থদের। ৩৮ মিনিটে রিচার্লিসনের দিকে চিপ করে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বল। কিন্তু সেই বলের দখল নিয়ে নেন মনটিয়েল। হতাশা আর হতাশা। যখনই বল নিয়ে উঠতে গিয়েছেন, আটকে দিয়েছে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা।
৫১ মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় নেমার। এ বার আটকে দিলেন লো সেলসো। অনৈতিক ভাবে আটকানোয় হলুদ কার্ড দেখতে হল তাঁকে। ৫৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে পড়ে গেলেন নেমার। পেনাল্টির জন্য রেফারির দিকে তাকিয়ে থাকলেন। কিন্তু কোনও সাড়া দিলেন না রেফারি।
৬৮ মিনিটে নেমারকে আটকাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ডি পল। ৭১ মিনিটে বল সাজিয়ে দিলেন পাকুয়েটাকে। কিন্তু গোলে রাখতে পারলেন না তিনি।
ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে দেখা গেল মরিয়া নেমারকে। যাঁকে আটকাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ওটামেন্ডি। ৮৩ মিনিটে নেমারের কর্নার বাইরে পাঠালেন ড্যানিলো। ৮৫ মিনিটে নেমারের কর্নার বাইরে পাঠালেন থিয়াগো সিলভা।
৯৫ মিনিট। ম্যাচ শেষের বাঁশি। কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেমার। সতীর্থরা এগিয়ে এলেন শান্ত করতে। পারলেন না। বন্ধু মেসির কাঁধে মাথা রেখে কাঁদলেন নেমার। ফাইনাল থেকে ফিরে যাওয়ার দুঃখ মেসি জানেন, বোঝেন। শান্ত করলেন বন্ধুকে। হয়তো আশ্বাস দিলেন, ‘তুমি পারবে, ঠিক পারবে, চেষ্টা চালিয়ে যাও।’ মেসি তো জানেন চেষ্টা করলে স্বপ্নপূরণ হয়। তাঁর হয়েছে।
#CopaAmérica 🏆@Argentina salió campeón de América y estas fueron las acciones más destacadas de la final ante Brasil
— Copa América (@CopaAmerica) July 11, 2021
Argentina 🆚 Brasil #VibraElContinente #VibraOContinente pic.twitter.com/uXB9krhnbB
মারাকানা স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১-৭ গোলে জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল নেমারদের। সেই ম্যাচে যদিও চোটের জন্য মাঠে ছিলেন না তিনি। মারাকানাতে ২০১৬ সালের অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবলারদের নেতৃত্ব দিয়ে। ২০২১ সালে তীরে এসেও তরী ডুবল। পারলেন না নেমার। পারল না ব্রাজিল। করোনা সংক্রমণের মাঝেই আরও বেদনা সাম্বার দেশে। দলের হার চেয়েছিলেন কিছু সমর্থক। তাঁদের ইচ্ছাই যেন পূর্ণ হল। আটকে গেলেন ‘বিস্ময় বালক’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy