চ্যাম্পিয়ন: ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকা ট্রফি হাতে আলভেসদের উৎসব। রবিবার। এএফপি
একটা গোল করলেন। অন্যটা করালেন। কিন্তু ম্যাচের ৭০ মিনিটে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখে বেরিয়ে যেতে হল গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে। তাতে অবশ্য ব্রাজিলের নবম কোপা আমেরিকা জয় আটকাল না। যত বার পেলের দেশ কোপার আয়োজন করল, তত বারই চ্যাম্পিয়ন। রবিবার মারাকানা স্টেডিয়ামে ৭০ হাজার দর্শকের সামনে ব্রাজিল ৩-১ গোলে হারাল পেরুকে। বারো বছর পরে কোপা জয়। জেসুস (৪৫+৩ মিনিট) ছাড়া গোল করলেন সৌজা সোয়ারেস (১৫ মিনিট), রিচার্লিসন (৯০ মিনিট, পেনাল্টি)। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন পেরুর অধিনায়ক গুয়েরো পেরিরা।
নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)-হীন ব্রাজিলের কোপা জয়ের নায়ক অবশ্যই জেসুস। দ্বিতীয় পোস্টে তাঁর সাজিয়ে দেওয়া পাস থেকে সোয়ারেসের প্রথম গোল। তাঁর নিজের গোলটাও চমৎকার। পেরুর রক্ষণের জঙ্গলে দাঁড়িয়ে অসাধারণ প্লেসিংয়ে। রবের্তো ফির্মিনো, ফিলিপে কুতিনহোরা ভাল খেললেও সন্দেহ নেই ম্যাচের নায়ক ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড জেসুস। তবে দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে তিনি নিজেকে সামলাতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার সময় জলের বোতলে লাথি মারেন। হাত দিয়ে ধাক্কা দেন ভিএআর (ভিডিয়ো প্রযুক্তি) মনিটরেও। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার টানেলে বসে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
জেসুস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ের সময় পেরুর এক ফুটবলারকে সামান্য ধাক্কা মেরে। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, কার্ড না দেখালেও পারতেন রেফারি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দেওয়া পেনাল্টিও তাঁদের কথায়, ‘অবিশ্বাস্য’ ভুল। কোচ তিতে যে কারণে লিয়োনেল মেসির প্রসঙ্গ টেনে ম্যাচের পরে বললেন, ‘‘লিয়ো বিশ্বের অন্যতম সেরা। তার মানে এই নয়, টুর্নামেন্ট বা রেফারিকে অসম্মান জানাতে হবে। পরাজয় মেনে নেওয়াই সৌজন্য। আজ ফাইনালেও তো আমাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি হয় না। আমি কী বলব? ভুল মানুষ মাত্রেই হয়। বিশ্বকাপের সময় ভুগেছি। এখানেও কয়েক বার একই ব্যাপার হল।’’ মজা হচ্ছে, পেরুর আর্জেন্টাইন কোচ এবং প্রাক্তন তারকা রিকার্দো গারেকাও পুরোপুরি মেসির বিরুদ্ধে গিয়ে তিতেকে সমর্থন জানান। শোনা যাচ্ছে, রেফারিকে আক্রমণ করে বিবৃতি এবং কোপার সংগঠকদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় মেসির দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল থেকে দু’বছরের নির্বাসন হতে পারে। আর্জেন্টাইন তারকা যদিও তার জন্য অনুতপ্ত নন।
অনুতপ্ত জেসুস। তাঁর জন্যই ২০ মিনিটের বেশি সময় ব্রাজিল দশ জনে খেলেছে। ব্রাজিলীয় তারকার মনে হয়েছিল, তাঁর ভুলের জন্য দেশকে না খেসারত দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু না হওয়ায় এবং ব্রাজিল কোপা জেতায় লজ্জিত জেসুস বলেছেন, ‘‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মাঠে যা করে ফেলেছি, তার কোনও দরকার ছিল না। বুঝতে পারছি আমাকে আরও পরিণত হতে হবে।’’
২০০৭ সালে কোপা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলে ছিলেন দানি আলভেস। এ বার তিনি অধিনায়ক। ম্যাচের পরে আলভেস বলেছেন, ‘‘গোল না খেয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম। রেফারির ভুলে সেটা হল না। তবু আমি খুশি। কোনও ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে কোপা জিতিনি। এটা দলগত সাফল্য।’’
‘কোনও ব্যক্তি’ বলতে কি আলভেস বোঝালেন নেমারকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy