আইপিএলের জন্য টাইটেল স্পনসরের খোঁজ চলছে জরুরি ভিত্তিতে। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ থেকে এই মরসুমের জন্য সরে গিয়েছে ভিভো। এর ফলে নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়া নিয়েই এখন সমস্যায় বোর্ড। এর মধ্যে বোর্ডের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল আইপিএলের অন্য চিনা স্পনসররা। সূত্রের খবর, এ বারের আইপিএল থেকে অন এয়ার বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ থেকে সরে যেতে পারে তারাও।
ভারত ও চিনের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে খেলার দুনিয়াতেও। দেশ জুড়ে চিনা পণ্য ব্যবহার না করার প্রবণতা রয়েছে। সেই মনোভাবের কথা মাথায় রেখেই আইপিএল থেকে সরে গিয়েছে ভিভো। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে বছরে ৪৪০ কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে ভিভোর। তারা সরে দাঁড়ানোয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল আয়োজন নিয়ে সমস্যায় বোর্ড। কারণ, দ্রুত এত বড় অঙ্কের টাইটেল স্পনসর খুঁজে পাওয়া সহজ নয়।
এই অবস্থাতেই বোর্ডের দুশ্চিন্তা আরও বাড়তে পারে কারণ, যে চিনা ব্র্যান্ডগুলো প্রতিযোগিতা চলাকালীন অন-এয়ার বিজ্ঞাপন দেয়, তারা সরে গেলে সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টস চাপে পড়বে। ভিভো সরে গেলেও এখনও ওপো, রিয়েল মি, সাওমি, হুয়াওয়েই, লেনোভোর মতো চিনা ব্র্যান্ড জড়িয়ে আছে আইপিএলের সঙ্গে। চিনা ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতে যে আবেগ রয়েছে, তা ভাবাচ্ছে এই ব্র্যান্ডগুলোকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনা ব্র্যান্ডগুলো যে আইপিএল ২০২০-তে বিজ্ঞাপন দিতে চাইছে না, তা জানা গিয়েছে ইনসাইড স্পোর্ট-এ প্রকাশিত এক বিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, ভিভো ও ওপো মিলে গত মরসুমের আইপিএলের সময় ২৪০ কোটি টাকা বিজ্ঞাপন খাতে খরচ করেছিল। কিন্তু, এ বার তারা সম্পূর্ণ দূরে সরে থাকছে প্রতিযোগিতা থেকে।
আরও পড়ুন: পরের বছর ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২২ সালে হবে অস্ট্রেলিয়ায়
আরও পড়ুন: ধোনির নামে তীব্র বিরক্তি, কোচ যুবিতে মজেছেন যোগরাজ
পেটিএম, সুইগি, জোমাটো, ড্রিম১১ প্রভূতি সংস্থারও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারাও আইপিএল নিয়ে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি নতুন করে ভাবতে পারে। গত মরসুমের আইপিএল থেকে স্টার স্পোর্টসের আয় হয়েছিল ২১০০ কোটি টাকা। এ বার তাদের আয়ের অঙ্ক কমে ১৫০০-১৭০০ কোটি টাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বারের আইপিএল হতে চলেছে দিওয়ালির সময়। উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখে দ্রুততার সঙ্গে নতুন টাইটেল স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy