বিধ্বংসী: পুজারাকে ফিরিয়ে কামিন্সের লাফ। শনিবার। এপি।
আগের সফরে অস্ট্রেলিয়ার সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল চেতেশ্বর পুজারার ব্যাট। এ বার তিনি রান তো পাচ্ছেনই না, উল্টে মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য কড়া সমালোচনার মুখে পড়ছেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার পাতা ফাঁদেও যে পা দিয়েছেন পুজারা, তা শনিবার জানিয়ে যান স্বয়ং প্যাট কামিন্স।
শনিবার সিডনিতে ভারতীয় ইনিংসকে আড়াইশোর কমে শেষ করে দেওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা নেন কামিন্স। বিধ্বংসী বোলিংয়ে তুলে নেন চার উইকেট। দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে কামিন্স বলে যান, ‘‘সিরিজ শুরুর আগে আমরা পুজারাকে নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। ও ২০০-৩০০ বল খেলে দেয়। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম, ওর রান করার পথটা যতটা সম্ভব কঠিন করে দেব। আর একটার পর একটা ভাল বল করে যাব। এখনও পর্যন্ত আমাদের কৌশলটা কাজে এসেছে।’’
পুজারার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং এবং অ্যালান বর্ডার। পন্টিং মনে করছেন, পুজারার এই মনোভাবে উল্টো দিকের ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়ে যাচ্ছেন। বর্ডার আরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিয়েছেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, পুজারা শট খেলতে ভয় পাচ্ছে। ও টিকে থাকার জন্য ব্যাট করছে, রান করার জন্য নয়।’’
পন্টিং টুইট করেন, ‘‘আমার মনে হয় না পুজারার দৃষ্টিভঙ্গিটা ঠিক। ওকে আরও দ্রুত রান করতে হবে। না হলে উল্টো দিকের ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়ে যাচ্ছে।’’ তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে পুজারা ১৭৬ বলে ৫০ করে ফিরে যান। টেস্টে তাঁর মন্থরতম হাফসেঞ্চুরি করে। পুজারার ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি বাউন্ডারি। তাঁকে ফিরিয়ে দেন কামিন্সই। বিশ্বের সেরা টেস্ট বোলারকে প্রশ্ন করা হয়, পুজারার মন্থর ব্যাটিং কি ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ তৈরি করে দিচ্ছে?
জবাবে কামিন্স বলেন, ‘‘সেটা একটা ব্যাপার তো বটেই। সবাই জানে, পুজারা অনেক বল খেলবে। ওই সময় স্কোরবোর্ডটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। একটা সময় তো পুজারা দেড়শো বল খেলে ফেলেছিল। তখন স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, ভারত আমাদের চেয়ে দুশো রান পিছনে! তাই ভাল বল করে গেলে, ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তার কিছু থাকে না।’’
তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে ১৯৭ রানে। তাঁদের সামনে এখন কী লক্ষ্য? কামিন্সের জবাব, ‘‘আমরা চাইছি, তিনশোর বেশি রানের লক্ষ্য ভারতের সামনে দিতে। আশা করব, উইকেট আরও খারাপ হবে। এবং চতুর্থ-পঞ্চম দিনে ওই রান তাড়া করা ভারতের কাছে কঠিন হবে।’’
এ দিন আবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন শেন ওয়ার্ন এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। বিগ ব্যাশ লিগে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় মার্নাস লাবুশেনের ব্যাটিং ভঙ্গি নিয়ে বিদ্রুপ করছিলেন ওয়ার্ন এবং সাইমন্ডস। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার খেয়াল করেননি মাইক্রোফোন চালু ছিল। ফলে তাঁদের মন্তব্য দর্শকরা শুনতে পেয়ে যান। এই নিয়ে হইচই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে চ্যানেলটির তরফে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy