আস্থা: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্যাট হাতে ভরসা পুজারাই। ফাইল চিত্র।
স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়াকে শক্তিশালী করবে, মেনে নিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে চেতেশ্বর পুজারা বলে দিচ্ছেন, ভারতীয় বোলারেরাও তৈরি। তাঁরাও আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন স্মিথ-ওয়ার্নারদের মোকাবিলা করার জন্য।
দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের নেপথ্যে বড় অবদান ছিল চেতেশ্বর পুজারার। তিনটি সেঞ্চুরি-সহ ৫০০-র উপরে রান ছিল তাঁর। বল-বিকৃতি কেলেঙ্কারির জেরে নির্বাসিত হয়ে সেই সিরিজে খেলতে পারেননি স্মিথ ও ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার আগের সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুজারা বলেছেন, “২০১৮-১৯ মরসুমে ওদের যে ব্যাটিং লাইন-আপ ছিল, তার চেয়ে অবশ্যই শক্তি বাড়বে স্মিথরা ফেরায়। কিন্তু এটাও তো আমরা সকলে জানি, কোনও জয়ই সহজে আসে না। দেশের বাইরে সিরিজ জিততে গেলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতেই হবে।”
পুজারা মনে করেন, গত বার যে ছন্দে বল করেছেন মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা ও ইশান্ত শর্মা, এ বারও সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারবেন তাঁরা। দু’বছরের তফাতে আরও পরিণত ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে ভারতীয় পেস ব্যাটারি। তাঁদের সামলানো একেবারেই সহজ নয় অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। সোমবার থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন শামি। অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্টের কথা মাথায় রেখে গোলাপি বলে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ১৭ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট। পুজারা মানছেন না স্মিথরা ফিরছেন বলে সব হিসাবনিকাশ ওলটপালট হয়ে যাবে। ‘‘কোনও সন্দেহ নেই, স্মিথ, ওয়ার্নার ও লাবুশেন দারুণ ব্যাটসম্যান। কিন্তু আমাদের বোলাররা জানে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশে কী ভাবে বল করা দরকার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অতীতে সফল হয়ে এসেছে ওরা। সব নকশাই ওদের জানা আছে আর যদি পরিকল্পনামাফিক চলা যায়, স্মিথ-ওয়ার্নারদের দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের বোলারদের রয়েছে।” এ দিন টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে সিডনিতে কে এল রাহুলের প্রস্তুতির ভিডিয়ো। অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য টেনিস বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। রাহুলকে বল ছুড়ে অনুশীলন করাচ্ছিলেন অশ্বিন। ১৮ গজ দূরত্ব থেকে রাহুলের পাঁজর লক্ষ্য করে র্যাকেট দিয়ে বল মারছেন অশ্বিন। সেই বলে পুল মারার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাহুল। অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এ ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে পুজারাকেও। রাজকোটে তাঁর অ্যাকাডেমিতে আলাদা প্রস্তুতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছেন তিনি। গোলাপি কোকাবুরা বল কী ভাবে সামলাবেন, তা নিয়েও ভেবেছেন। পুজারার কথায়, “গোলাপি বলের সঙ্গে যারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে, তারাই জিতবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোকাবুরা বলে খেলা অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। সুইং ও বাউন্সের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে গোধূলিবেলায় গোলাপি বলের সঙ্গে। টেস্ট শুরু হওয়ার আগে গোধূলির সময় পর্যাপ্ত অনুশীলন করতেই হবে আমাদের।”
শেষ বার পুজারা এতটা সফল হয়েছিলেন সঠিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এ বারও তিনি একই রকম পরিশ্রম করেছেন সে দেশে পা রাখার আগে। বাবা অরবিন্দ পুজারার কাছেই ছোট থেকে ক্রিকেট শেখা। বর্তমানে তিনিই পুজারার কোচ। টেকনিকের দিক থেকে কি কোনও পরিবর্তন করলেন? পুজারার উত্তর, “টেকনিক্যাল কোনও পরিবর্তন করলেও তা বলতে পারব না। শুধু বলা যেতে পারে গত বারের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। আশা করি, পুরনো ছন্দ ধরে রাখতে সমস্যা হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy