সৌজন্য: রেফারির সঙ্গে করমর্দন পিয়ারলেস ফুটবলারদের। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
আনসুমানা ক্রোমাদের হাতে কলকাতা লিগের ট্রফি ওঠা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে কাস্টমসের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল দল না নামানোয় ৬১ বছর পরে ময়দানে ফের তিন প্রধানের বাইরে ছোট দল হিসেবে লিগ জিতল পিয়ারলেস। লক্ষ্মীপুজোর পরেই আইএফএ তাদের হাতে তুলে দেবে বহু আকাঙ্ক্ষিত লিগ জয়ের ট্রফি।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পর্যাপ্ত ফুটবলারের অভাবে তাঁরা কাস্টমসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচের দলই তৈরি করতে পারছেন না। এ দিন সকালে শোনা গিয়েছিল, শতবর্ষের বছরে দল না নামাতে পারার কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচতে লাল-হলুদ কর্তারা কিছু জুনিয়র ফুটবলারকে নিয়েই দল সাজিয়ে কাস্টমসের বিরুদ্ধে খেলতে পারে।
কিন্তু দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়ামে সেই উদ্যোগের কোনও প্রতিফলন ধরা পড়েনি। মাঠে দর্শক কার্যত ছিলেন না বললেই চলে। তা ছাড়াও এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা বুঝতে না পেরে এ দিনের ম্যাচের আয়োজকরা টিকিট পর্যন্ত বিক্রি করার ঝুঁকিও নিতে চাননি। এরই মধ্যে গুজব রটতে শুরু করে যে, কল্যাণীর পথে রওনা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। তীব্র যানজটের কারণে দল নাকি পথে আটকে রয়েছে। আখেরে কিছুই হয়নি। কল্যাণী স্টেডিয়ামে কাস্টমস দলের ফুটবলার থেকে কর্তা এবং রেফারি-সহ আইএফএ-র আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে পৌঁছে গিয়েছিল কাস্টমস দল। ওয়ার্ম আপ করার পরে ফুটবলাররা মাঠের ধারে বসে ইস্টবেঙ্গল দলের আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনতে শুরু করেন। এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মিঠুন কুণ্ডু। ম্যাচ কমিশনার বিকাশ মুখোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন। আইন বাঁচিয়ে এ দিনের ম্যাচেরও তালিকা প্রকাশ করে আইএফএ। সেখানে দেখা যায়, কাস্টমস দল তাদের ফুটবলারদের নাম জানিয়ে দিলেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য নির্ধারিত নামের তালিকা শূন্য। বিকেল তিনটে পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে রেফারিরা ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করে ফিরে যান।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এমন আচরণে বিস্মিত কাস্টমস ক্লাবের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যও। যিনি ফুটবলারজীবনে খেলেছেন লাল-হলুদ জার্সিতেও। তিনি বলেন, ‘‘শতবর্যের বছরে ইস্টবেঙ্গল যে এমন কলঙ্কজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে, তা কল্পনা করতে পারিনি। এটা ফুটবলের পক্ষেই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’’ সেখানেই না থেমে বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ‘‘ম্যাচে জয়-পরাজয় থাকেই। কিন্তু তাই বলে ইস্টবেঙ্গলের মতো প্রতিষ্ঠান দলই নামাতে পারল না, এটা কোনও অবস্থাতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছি না।’’
আইএফএ সচিব রাতে বলেন, ‘‘আমরা এই ম্যাচ আয়োজনের সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই মতো ইস্টবেঙ্গলকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং অনভিপ্রেত। পুজোর পরে লিগ সাব কমিটিতে এই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’’ ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা অবশ্য গোটা ঘটনার জন্য আঙুল তুলেছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার দিকে। তাঁদের দাবি, দলের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থা। তাঁদের অনুরোধ গ্রাহ্যই করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy