ফাইল চিত্র।
শতবর্ষে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস অস্বস্তিতে। পরিস্থিতি যা তাতে তিন বিদেশি হেইমে স্যান্টোস কোলাদো, কাশিম আইদারা এবং বোরখা গোমেসকে বাদ দিয়েই দল নামাতে হবে তাঁকে। আইএফএ-র নিয়মের গেরোয় আটকে শুক্রবার ওঁরা বসবেন গ্যালারিতে। বৃহস্পতিবার সই করা মার্তি ক্রেসপেই শুধু নামবেন বিদ্যাসাগর সিংহদের সঙ্গে। মার্তি গত সোমবার ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। এ দিন অবশ্য অনুশীলনের শেষে বলে দিয়েছেন, ‘‘শুরুর ম্যাচ বলে সমস্যা হয়েছিল। মাঠ খারাপ নয়। সমস্যা গরম এবং বৃষ্টি নিয়ে।। মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।’’
প্রবল বৃষ্টির জন্য বৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলন ঘণ্টা দেড়েক পিছিয়ে দেন আলেসান্দ্রো। অনুশীলন শেষে কথা না বলে চিন্তিত মুখে বেরিয়ে যান লাল-হলুদের কোচ। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ যথেষ্ট শক্তিশালী। লিগের প্রথম দুটি ম্যাচই জিতেছে। দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই পুরনো। তিন বিদেশিও কলকাতায় খেলছেন অনেকদিন। স্ট্রাইকার জোয়েল সানডে গোলের মধ্যে রয়েছেন। সঙ্গী জাস্টিন মর্গ্যানও ফর্মে আছেন। আর স্টপারে ইচে তো মোহনবাগানের প্রাক্তনী। কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য পাঁচ বছর রয়েছেন জর্জের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে বাংলা সন্তোষ ট্রফির কোচ করেছে তাঁকে। রঞ্জন নিজে এক বছর ইস্টবেঙ্গলেও খেলেছেন। বলছিলেন, ‘‘শতবর্ষে প্রথম লিগ ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। জেতার জন্য ওরা আপ্রাণ চেষ্টা করবে। ওদের মাঠ ভর্তি সমর্থক থাকবে। তা সত্ত্বেও আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব।’’
জর্জ যে সমস্যায় ফেলতে পারে আলেসান্দ্রো সেটা জানেন বলেই অনেক আগে থেকে অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন। ডুরান্ডের পরপর দুটি ম্যাচে ১৯ জন ফুটবলারকে খেলিয়ে নিয়েছেন সে জন্যই।
কলকাতা লিগ— ইস্টবেঙ্গল: জর্জ টেলিগ্রাফ (ইস্টবেঙ্গল ৩-০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy