গত ২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দেয় সিবিআই। —ফাইল চিত্র
সারদার পর এ বার রোজভ্যালি কাণ্ডেও জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম। ফলে বেশ অস্বস্তিতে শতবর্ষে পা দেওয়া ক্লাব। কারণ শনিবার এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে চলা মামলায় লাল-হলুদের হিসাবরক্ষক তথা ক্লাব কর্তা দেবদাস সমাজদারের নাম সামনে এল। এই বিষয়ে একবার নয়, দুবার সিবিআইয়ের তরফ থেকে বেশ কড়া ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্লাবের নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের পাঠানো সেই চিঠি আনন্দবাজার ডিজিটালের হাতেও এসেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে সারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বেশ কয়েক মাস হাজতে কাটিয়েছিলেন শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। স্বভাবতই গোটা বিষয় নিয়ে বেশ বিরক্ত লাল হলুদের বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট। একদিকে দল যখন আইএসএল খেলছে, তখন ক্লাব কর্তাদের বারবার চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া মোটেও ভালভাবে নিচ্ছেন না সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর। তাঁদের দাবি, চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুণ্ডু জেলে থাকার জন্য তাঁদের সদস্যপদ লাল-হলুদ বাতিল করেছে। ফলে পরিচালন কমিটির অভিযুক্ত সদস্যদেরও ক্লাব থেকে ছেঁটে ফেলা উচিত।
গত ২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দেয় সিবিআই। কর্তা দেবদাস সমাজদারকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ক্লাবের সঙ্গে রোজভ্যালির কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই চিঠির কোনও জবাব সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়। এটি পাঠানো হয়েছিল ক্লাব সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্তকে।
সেই চিঠিতে গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রোজভ্যালির সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথাও সেই চিঠিতে লেখা ছিল। ক্লাবের তরফ থেকে দুটো চিঠির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের দুটো চিঠি আমরা পেয়েছি। জবাব দেওয়াও হয়েছে।’’
ফের একবার লাল-হলুদ ক্লাবের সঙ্গে চিটফান্ড সংস্থার নাম জড়িয়ে গেল। এটি ভাল চোখে দেখছে না বিনিয়গকারীরা। সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা ফুটবলেরর উন্নতির জন্য ইস্টবেঙ্গলে এসেছি। সেখানে এই বিষয়গুলো কাম্য নয়। চিট ফান্ড কাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য লাল-হলুদ কর্তারা একটা সময় সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুন্ডুর সদস্য পদ বাতিল করেছিলেন। তাহলে এবার এই কর্তাদের কেন ছেঁটে ফেলা হবে না? নিয়ম তো সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’’
চলতি আইএসএলে মাঠে ভাল ফল করতে পারেনি রবি ফাওলারের দল। মাঠের বাইরে তো ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারী ঝামেলা লেগেই আছে। আর এবার ফের চিটফান্ড কাণ্ডে ক্লাব কর্তার নাম জড়িয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy