—ফাইল চিত্র।
চুক্তির অর্থ না পেয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নোটিশ পাঠালেন কেভিন লোবো!
জাতীয় দলে খেলা এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সমস্যার সূত্রপাত নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএলে খেলার কথা ঘোষণা করার পরে থেকে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে লোবো-সহ চুক্তিবদ্ধ ২৯ জন ফুটবলারের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের হাতে। নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট আইএসএলের দলে লোবোকে রাখেনি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি থাকার কারণে অন্য ক্লাবের প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও সই করতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
চুক্তি অনুযায়ী টাকা না পেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম নোটিশ পাঠিয়েছিলেন লোবো। চার মাস অপেক্ষা করার পরে গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) তিনি ফের নোটিশ পাঠিয়ে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান। ইস্টবেঙ্গলকে পাঠানো নোটিশে লোবো লিখেছেন, ‘‘১৭ এপ্রিল ২০২০ সালে ক্লাবের সঙ্গে আমার তিন বছরের চুক্তি হয়েছিল। অথচ চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পাইনি। ফিফার ১৪ বিআইএস ধারা অনুযায়ী কোনও ফুটবলারকে সময় মতো চুক্তির অর্থ দিতে না পারলে তিনি ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’’
সোমবার গোয়া থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে হতাশ লোবো বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল আমার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছিল। অথচ আইএসএলে খেলার জন্য আমাকে দলেই রাখা হয়নি। শুধু তাই নয়। চুক্তি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এক টাকাও পাইনি।’’ যোগ করলেন, ‘‘আমার কিছু করার ছিল না। কত দিন এ ভাবে না খেলে বাড়িতে বসে থাকব? আইএসএলের অন্যান্য ক্লাবের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি থাকায় কোথাও সই করতে পারিনি।’’
লোবোর চুক্তি বাতিল করার নোটিশ প্রসঙ্গে লাল-হলুদের লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেভিন লোবোর সঙ্গে আমরা চুক্তি করিনি। ফলে ওর বকেয়া মেটানোর দায় আমাদের নয়। যারা চুক্তি করেছে, তাদের দায়িত্ব সমস্যার সমাধান করা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আইএসএলের জন্য দলে যাদের প্রয়োজন ছিল, আমরা সেই সব ফুটবলারদের সঙ্গেই চুক্তি করেছিলাম। লোবো, কিগান পেরেরা, রিনো অ্যান্টোকে দরকার হয়নি বলেই চুক্তি করা হয়নি ওদের সঙ্গে। তা ছাড়া চুক্তি বাতিল করার চিঠি লোবো তো আমাদের পাঠায়নি। ইস্টবেঙ্গলকে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy