কার্লোস আলকারাজ। ছবি: রয়টার্স।
খুব বেশি পরিশ্রম না করেই ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন কার্লোস আলকারাজ়। প্রথম রাউন্ডে দ্বিতীয় সেট চলাকালীন চোটের কারণে সরে যান তাঁর প্রতিপক্ষ ডোমিনিক কোয়েফার। আলকারাজ় তখন এগিয়েছিলেন ৬-৩, ৩-২ গেমে। এ দিকে, ইউএস ওপেনে সবচেয়ে খারাপ ভাবে হারলেন ভিনাস উইলিয়ামস। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন ওন্স জাবের, এরিনা সাবালেঙ্কা।
আলকারাজ়ের ম্যাচে হতাশ হতে হয়েছে দর্শকদের। তখন সবেমাত্র নিজের প্রতিভার ঝলক দেখাতে শুরু করেছেন আলকারাজ়। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম তখন স্পেনীয় খেলোয়াড়ের শট দেখে মুগ্ধ। এমন সময় হঠাৎই একটি রিটার্ন ফেরাতে গিয়ে গোড়ালি ঘুরে গেল কোয়েফারের। তিনি মেডিক্যাল টাইম-আউট নিলেও লাভ হয়নি। কোর্টে খেলার মতো শক্তিই পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তত ক্ষণে আলকারাজ় ১৯টি ‘উইনার’ মেরেছেন। ভুল প্রায় করেনইনি।
ম্যাচের পর আলকারাজ় বলেন, “প্রথম গেমেই ওর পায়ে চোট লাগল। খুবই খারাপ লাগছে। এ ভাবে কোনও দিনই ম্যাচ জিততে চাই না। তবে নিজের খেলায় আমি খুশি। আশা করি গোটা প্রতিযোগিতাতেই এ রকম ছন্দ ধরে রাখতে পারব।”
আলকারাজ়ের খেলা দেখতে দর্শকাসনে ছিলেন স্পেনের গায়ক সেবাস্তিয়ান ইয়াত্রা। সঞ্চালক অনুরোধ করেন ইয়াত্রার কোনও একটি গানের দু’কলি গেয়ে শোনাতে। আলকারাজ় হাসতে হাসতে গান শুরু করেন। দর্শকাসনে থাকা ইয়াত্রাও নাচতে থাকেন আলকারাজ়ের গান শুনে। গোটা স্টেডিয়ামেই তখন হাততালির ঝড়।
আলকারাজ় বললেন, “এই কোর্টে আমি খেলতে ভালবাসি। আজ প্রথম বার কোর্টে পা রাখার পরেই গত বারের মতো অনুভূতি হয়েছে। ম্যাচটাও ভাল ভাবে শুরু করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শেষটা ঠিক মতো হল না।”
এ দিকে, সেরিনা উইলিয়ামসের টেনিসযাত্রা শেষ হলেও তাঁর দিদি ভিনাস এখনও খেলে চলেছেন। কিন্তু কোথাওই বেশি দূর এগোতে পারছেন না। শেষ ১২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম বা দ্বিতীয় রাউন্ড টপকাতে পারেননি। যে ইউএস ওপেন জয়ের তাঁকে চিনতে পেরেছিল গোটা বিশ্ব, সেই প্রতিযোগিতাতেই সবচেয়ে লজ্জার মুখে পড়লেন তিনি। বেলজিয়ামের যোগ্যতা অর্জনকারী খেলোয়াড় গ্রিট মিনেনের কাছে ১-৬, ১-৬ গেমে হারলেন। গ্র্যান্ড স্ল্যামে তাঁর সবচেয়ে খারাপ হার এটাই। এর আগে কোনও দিন ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হারেননি। তবু ম্যাচের শেষে দর্শকদের অভ্যর্থনা পেলেন ভিনাস।
ম্যাচের পর বোন সেরিনাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জানতাম যে সেরিনা এই প্রতিযোগিতায় খেলবে না। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই। ও অবসর নেওয়ার আগেই আমি ব্যাপারটার সঙ্গে ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করেছি।” অবসরের প্রশ্নে তাঁর জবাব, “আমি জানি না। এটাও বুঝতে পারছি না কেন আমাকে এই প্রশ্ন করছেন।”
মেয়েদের বিভাগে সাবালেঙ্কা ৬-৩, ৬-২ হারিয়েছেন এরিনা জানেভস্কাকে। এই প্রতিযোগিতা দু’বারের সেমিফাইনালিস্ট সাবালেঙ্কাকে অবশ্য তাঁর সেরা ফর্মের ধারেকাছে দেখা যায়নি। কিন্তু বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে তিনি জেতেন। অন্যান্য ম্যাচে, তৃতীয় বাছাই জেসিকা পেগুলা ৬-২, ৬-২ হারিয়েছেন ক্যামিলা জিয়োর্জিকে। সপ্তম বাছাই ক্যারোলিন গার্সিয়া ৪-৬, ১-৬ হেরেছেন ওয়াং ইফানের কাছে। পঞ্চম বাছাই জাবের ৭-৫, ৭-৬ হারিয়েছেন ওসোরিয়ো সেরানোকে। ছেলেদের বিভাগে ইয়ানিক সিনার ৬-৩, ৬-১, ৬-১ হারিয়েছেন ইয়ানিক হাফমানকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy