ছন্দে: এ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের খেতাবী দৌড়ে নাদাল। ফাইল চিত্র।
নিউ ইয়র্কে এখন বেশ গরম। এর মধ্যেই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য তৈরি হচ্ছে শহরটা। শুনছি প্রতিযোগিতার প্রথম দু’দিন থেকে উষ্ণতা আরও বাড়বে। মানে, খেলোয়াড়দের পরীক্ষাটা বেশ কঠিন।
ফ্লাশিং মিডোজের জন্য প্রস্তুতির যেটুকু যা খবর পেয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে, রাফায়েল নাদালকে এ বার হারানো বেশি কঠিন। গত ছ’মাস ধরেই ওকে অবিশ্বাস্য ছন্দে খেলতে দেখছি। ফরাসি ওপেনে ট্রফি নিয়েছে। উইম্বলডনে খেলেছে সেমিফাইনাল। মাস্টার্স সার্কিটেও পারফরম্যান্স বেশ ভালই বলব। তাই হার্ড কোর্টে বরাবরের মতোই ওকে অপরাজেয় দেখলে অবাক হব না।
রাফার খুব কাছাকাছিই রাখতে চাই নোভাককে (জোকোভিচ)। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের জন্য ওর প্রস্তুতিটা ভালই হয়েছে। হ্যাঁ সিনসিনাটিতে ওর জয়ের কথা মাথায় রেখেই তা বলছি। তার উপর উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন। এটাও বিরাট ব্যাপার। সব চেয়ে বড় কথা, সেই পুরনো ছন্দেও ফিরছে নোভাকের খেলা। যা কিনা যে কোনও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।
কে না জানে, এ বারের ফেভারিটদের মধ্যে রজার ফেডেরার, অ্যান্ডি মারে, খুয়ান দেল পোত্রোকেও ধরতে হবে। তার উপর এই তিন জনই এখানে আগে ট্রফি জিতেছে।
ফেডেরার অবশ্য উইম্বলডনের পরে খুব বেশি প্রতিযোগিতায় খেলেনি। হার্ড কোর্টে বড় আসরে নামার আগে কয়েকটা ম্যাচ খেলে নিতে পারলে ভাল হয়। এ বার ওর এই জায়াগাতেই খামতি রয়েছে। এমনিতে নিউ ইয়র্কে তো আগে প্রচুর ম্যাচ জিতেছে। ফেডেরারের প্রচুর ভক্তও রয়েছে এই শহরে। তাই ট্রফি নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই বলে রজারকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
দেল পোত্রো কিন্তু একটু হলেও এখন নিষ্প্রভ। অন্তত শেষ কয়েকটা প্রতিযোগিতায় ওর খেলা দেখার পরে আমার সেটাই মনে হচ্ছে। তবু একটা জায়গাতে ছেলেটা এগিয়ে থাকেই। মানসিকতা। তাই বড় আসরে খেলতে নামলেই দারুণ ভাবে নিজের খেলাটা তুলে ধরতে পারে। তা ছাড়া গত বেশ কয়েক মাস ওর চোট-আঘাতের কোনও সমস্যাও নেই।
এ দিকে, দারুণ খবর হচ্ছে, অ্যান্ডি মারে এ বার খেলছে। তবে সবে চোট সারিয়ে উঠেছে তো, তাই এখনই ওকে নিয়ে বিরাট আশাবাদী হওয়ার কোনও জায়গা নেই। বরং বলতে হবে, আগামী কয়েক মাস ওর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। আর আশা করছি, আমরা সেরা অ্যান্ডি মারেকে দেখতে পাব পরের বছরের অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে।
এ বার নতুন বা সম্ভাবনাময়দের কথাও একটু বলা দরকার। আমার মন বলছে, ওদের অনেকেই এ বার ভাল লড়াই করবে। অবশ্য গত দু’বছরই আমি নতুনদের নিয়ে অনেক আশার কথা শোনাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মোক্ষম সময়ে ওরা ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্বাস করুন, আমি খুব খুশি হব আলেকজান্ডার জেরেভ বা নিক কিরিয়সরা দারুণ কিছু করলে। রজার, রাফা, নোভাক আর মারে। এই চার জনের প্রতি আমার দুর্বলতা থাকলেও বলছি অনূর্ধ্ব পঁচিশের প্রজন্ম ওদের এখনও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারছে না দেখলে খুব হতাশ হয়ে পড়ি। জানি না, সে দিনটা কবে আসবে। (গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy