চার-কন্যা: বক্সিংয়ে বিশ্বসেরা হওয়ার উৎসব। (বাঁ-দিক থেকে) নীতু, সুইটি, লাভলিনা এবং নিখাত। সোমবার গাজিয়াবাদে। ছবি: পিটিআই।
বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন চার কন্যা। নিখাত জ়ারিন, নীতু ঘাঙ্গাস, লাভলিনা বরগোঁহাই এবং সুইটি বোরা— এই চার বক্সারই দাপটে সোনা জিতেছেন নয়াদিল্লিতে হয়ে যাওয়া মেয়েদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। তার পর থেকে অভিনন্দনের বার্তায় ভেসে যাচ্ছেন তাঁরা। অভিনন্দন জানিয়েছেন সলমন খানও। একই সঙ্গে বলিউড মহাতারকা ফাঁস করেছেন আরও একটা খবর। তাঁকে কী কথা দিয়ে গিয়েছিলেন জ়ারিন!
সোমবার চার বক্সারের একটি ছবি টুইট করেন সলমন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘তোমার সঙ্গে যখন শেষ দেখা হয়েছিল, তুমি বলেছিলে আবারও চ্যাম্পিয়ন হবে। তুমি কথা রেখেছ। তোমাকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই, নিখাত।’’ এর পরে চার কন্যার উদ্দেশে সলমন লেখেন, ‘‘বিশ্ব বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন।’’ এর জবাবে সোনাজয়ী সুইটি লিখেছেন, ‘‘ওয়াও! অনেক ধন্যবাদ সলমন স্যর। আপনার এই বার্তা আমাদের কাছে বিশাল প্রাপ্তি।’’
সোনার মেয়েদের নিয়ে এ বার কি বায়োপিক হতে পারে? একটি চ্যানেলে লাভলিনা এবং জ়ারিন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘বায়োপিক এখন অপেক্ষা করতে পারে। আমাদের কাহিনি তো সবে শুরু হল।’’
আর এক সোনাজয়ী বক্সার সুইটি জানিয়েছেন, কী ভাবে তিনি একটা সময় বক্সিং ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। সে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল চেপে রাখতে পারেননি এই বক্সার। খারাপ সময়টা এসেছিল কোভিডের সময়। টিভি চ্যানেলে সুইটি বলেছেন, ‘‘খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। বক্সিং আমার প্রথম ভালবাসা। কিন্তু সেই বক্সিংও ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম।’’
সুইটির স্বামী কবাডি খেলতেন। বক্সিং ছেড়ে তিনি তখন কবাডি খেলা শুরু করেন। সুইটির কথায়, ‘‘বক্সিংকে ভোলার জন্য ১২ ঘণ্টা ধরে কবাডি অনুশীলন চালিয়ে যেতাম। আমার স্বামীর দলের সঙ্গে অনুশীলন করতাম।’’ কবাডির জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কবাডি থেকে আবার নিজেকে বক্সিংয়ে ফিরিয়ে আনেন সুইটি। সেই সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তা বোঝা গিয়েছে ৮১ কেজি বিভাগে সুইটির সোনা জয় থেকে।
জ়ারিনকে তৃপ্তি দিয়েছে মায়ের মুখের হাসি। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন আমার হাতটা তুলে ধরে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আরও খুশি হয়েছিলাম, কারণ দর্শকদের মধ্যে আমার মা-ও ছিলেন।’’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার অর্থ দিয়ে জ়ারিন একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনবেন ঠিক করেছিলেন। সিদ্ধান্ত বদলে এখন সেই অর্থ পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy