Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Joydeep Karmakar

Olympics: বোল্টের বিশ্বরেকর্ড দেখা, কোচকে বাজিতে হারানো, গল্প শোনালেন বাংলার অলিম্পিয়ানরা

বৃহস্পতিবার ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স দিবস। খেলাধুলো করার সময় জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলার অলিম্পিয়ানরা।

ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে বাংলার অলিম্পিয়ানরা।

ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে বাংলার অলিম্পিয়ানরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ২০:৩৮
Share: Save:

বৃহস্পতিবার ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স দিবস। সে দিনই একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অলিম্পিক্সে নিজেদের ক্রীড়াজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলার অলিম্পিয়ানরা। কেউ নিজের বাজি জেতার গল্প শোনালেন, কেউ আবার স্বচক্ষে উসেইন বোল্টের বিশ্বরেকর্ড দেখার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। প্রত্যেকেই অলিম্পিক্সে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। আগামী দিনে বাংলা থেকে কোনও ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সে পদক পান, এটাই তাঁরা চান।

আজারবাইজানের বাকু থেকে সম্প্রতি শহরে ফিরেছেন শ্যুটার জয়দীপ কর্মকার। তিনি বললেন কোচের বিরুদ্ধে বাজি জেতার গল্প। বলছিলেন, “এক বার একটা বিশ্বকাপে গিয়েছি। তখন খুব বেশি টাকা পেতাম না। সামান্য টাকা ভাতা হিসেবে পেতাম। একদিন কোচকে মজা করেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কবে আমরা ডলারে পাব। উনি দেখলাম শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন। আমাদের মোট ৬০০ পয়েন্টে স্কোরিং হত। একটু পরে আমাকে ডেকে বললেন, তুমি যদি ৫৯৬ স্কোর করতে পারো তা হলে আমি তোমাকে ১০০ ডলার দেব। ৫৯৭ করলে ২০০ ডলার দেব। প্রতি পয়েন্টে ১০০ ডলার বাড়াব। কিন্তু ৫৯৪ পয়েন্ট স্কোর করলে তুমি আমাকে ১০০ ডলার দেবে।”

একটু থেমে জয়দীপের সংযোজন, “আমি খুব নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম এমনিতেই কম টাকা পাই। বাজি হেরে এত টাকা খোয়ালে সমস্যায় পড়ব। পর দিনই এক সতীর্থ বলল, ১০০ ডলার গুছিয়ে রেখেছি কি না। তাতেই জেদ চেপে গেল। ইভেন্টের পরে কোচ আমাকে ৪০০ টাকা দিলেন। ওই বিশ্বকাপে আমার স্কোর করা ৫৯৯ এখনও এশিয়ান রেকর্ড।”

এ দিন কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব বাংলার অলিম্পিয়ানদের সংবর্ধিত করে। সেখানে জয়দীপ ছাড়াও ছিলেন হেপ্টাথলিট সোমা বিশ্বাস এবং সুস্মিতা সিংহরায়, টেবিল টেনিসের মৌমা দাস এবং পৌলমী ঘটক, তীরন্দাজ রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সরস্বতী সাহা। সুস্মিতা বলছিলেন ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক্সে উসেইন বোল্টকে দেখার ঘটনা। তাঁর কথায়, “আমাদের ইভেন্ট যেখানে চলছিল, সেখানেই ছেলেদের ১০০ মিটার দৌড় শুরু হয়েছিল। যে দৌড়ে বোল্ট বিশ্বরেকর্ড করল, সেটা চোখের সামনে দেখা। সারাজীবন মনে থাকবে।”

পৌলমীর আক্ষেপ, জীবনে কোনও দিন প্রিয় বন্ধু মৌমার সঙ্গে এক সঙ্গে অলিম্পিক্সে যেতে পারেননি। পৌলমী ২০০০ সিডনি অলিম্পিক্সে খেলেছেন। মৌমা ২০০৪ অ্যাথেন্সের পর ২০১৬-এ রিয়ো অলিম্পিক্সে খেলেছেন। মৌমা তাঁর আগেই বলেছেন, “আমি আর পৌলমী বোধহয় জাতীয় স্তরে ২০ বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি। কিন্তু মাঠের বাইরে আমরা দু’জনেই ভাল বন্ধু। একে অপরের ভুল ধরিয়ে দিতাম।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy