অরুণ লাল
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ফের হারল বাংলা। রবিবার মুম্বইয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল চার উইকেটে হারল পুদুচেরির কাছে।
শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলার ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৩২-৬। যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে বাংলা শিবির। জবাবে দুই বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলে খেলা শেষ করে দেয় পুদুচেরি।
এ দিন হারের ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আর কোনও আশা রইল না বাংলার সামনে। মুম্বই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে মধ্যপ্রদেশকে হারানোয় পরের রাউন্ডে যাওয়ার একটা আশা তৈরি হয়েছিল বাংলার সামনে। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া অসম ম্যাচ বাংলাকে খেলতে হত ১৮ নভেম্বর। পুদুচেরি ও অসমকে হারালে পরের রাউন্ডে যেতে পারত বাংলা। কিন্তু পুদুচেরির কাছে হারায় সেই স্বপ্নভঙ্গ। ৬ ম্যাচের পরে অরুণ লালের প্রশিক্ষণাধীন বাংলা দলের পয়েন্ট ১২। তারা নেমে এল চার নম্বরে। আর পুদুচেরি ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট-সহ উঠে এল তিন নম্বরে।
ম্যাচের পরে বাংলার কোচ অরুণ লাল মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘‘মনোজ তিওয়ারির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটে রান নেই। গোটা প্রতিযোগিতাতে রান করল দু’জন। শ্রীবৎস গোস্বামী ও বিবেক সিংহ। বাকি ব্যাটসম্যানেরা বড় রান করতে পারল কোথায়? অধিনায়ক অভিমন্যুও বড় রান করতে পারেনি।’’ যোগ করেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানেরা ১৩২ রান করলে জেতার আশা না করাই ভাল। আগামী দিনে জুনিয়র ক্রিকেটারদের দিকে নজর দিতে হবে।’’
এ দিন টস জিতে পুদুচেরি ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাকে। কিন্তু প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক ভাবে রান পাওয়া শ্রীবৎস গোস্বামী ফিরে যান ২ রান করেই। বিবেক সিংহ ২৫ বলে ৪৩ রান করলেও বাকিরা কেউ বড় রান পাননি। অধিনায়ক অভিমন্যু করেন ২৮।
জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে বাংলার রান তাড়া করে পুদুচেরি। অধিনায়ক ডি রোহিত ৫৫ রান করে জয় আনতে বড় ভূমিকা নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy