অকপট: ডিন্ডার অভাব পূরণ হবে আশায় কোচ অরুণ। ফাইল চিত্র
মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ে শনিবারই অশোক ডিন্ডা ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলার জার্সিতে তাঁকে আর দেখা যাবে না। আজ, সোমবার সিএবি-তে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি)-র জন্য আবেদন করবেন। সচিব অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি। কিন্তু বাংলার সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহককে ছাড়া রঞ্জি ট্রফিতে কী ভাবে মোকাবিলা করবে অরুণ লালের দল?
বাংলার কোচ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ডিন্ডা খেলবেন কি না তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি না খেললে বাংলার ক্রিকেট থেমে থাকবে না। রবিবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজারকে ফোনে অরুণ বললেন, ‘‘ডিন্ডাকে সত্যি আমি খুব পছন্দ করি। অনুশীলনের আগে টিম হার্ডলে ডিন্ডার উদাহরণ দিয়ে বলি, ওর মতো মনের জোর তৈরি করো। কিন্তু ডিন্ডা যদি বাংলার হয়ে খেলতে না চায়, তা হলে কী করতে পারি! আমাদের ক্রিকেট তো আর থেমে থাকবে না।’’
অরুণ আরও বলেন, ‘‘সুনীল গাওস্কর খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরে সমর্থকেরা ভেবেছিলেন তাঁর অভাব পূরণ করা যাবে না। জায়গা পূরণ করেছে সচিন। সচিন খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও একই ধারণা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই অভাব কিন্তু পূরণ করে দিয়েছে বিরাট কোহালি। এটাই ক্রিকেটের রীতি।’’
অরুণ যদিও মানছেন, ডিন্ডার বিকল্প এত সহজে পাওয়া যাবে না। তরুণ পেসার আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েল সিনিয়র দলে সুযোগ পেতে শুরু করেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বেশ কিছু দিন লাগবে। অরুণের কথায়, ‘‘আকাশ, ঈশানরা চেষ্টা করছে ভাল করার। ওদের সময় দিতে হবে।’’
বাংলার কোচ চান, ক্রিকেটারেরা খেলার সঙ্গেই নিজেদের মানসিকতা নিয়ে সচেতন হোক। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক ক্রিকেটারই বলে, তারা বহু বছর ধরে বাংলা ক্রিকেটের সেবা করেছে। কিন্তু আমি এই মানসিকতার বিরুদ্ধে। আমি মনে করতাম, বাংলা আমাকে খেলার সুযোগ দিয়েছে। নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছি। সিএবি-র জীবনকৃতি সম্মান পাওয়ার সময়ও মনে হয়েছে, এই প্রাপ্তির জন্য আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান। বাকিরাও এ রকম মানসিকতা নিয়ে এগোলে ক্রিকেটেরই উন্নতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy