ক্রিসচিনা সিমানৌস্কায়ার। ছবি: রয়টার্স
প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে কথা বলায় টোকিয়ো অলিম্পিক্স থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অলিম্পিক্সে খেলতে নামার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল দৌড়বিদ ক্রিসচিনা সিমানৌস্কায়ার। তাঁর মতো কর্তৃপক্ষের কোপে পড়া অন্য অ্যাথলিটদের সাহায্য করতে চান তিনি। সেই জন্য নিলাম করবেন তাঁর পদক।
২০১৯ সালে ইউরোপিয়ান গেমসে পদক জিতেছিলেন সিমানৌস্কায়ার। সেই পদকই নিলাম করতে চাইছেন তিনি। ২৪ বছরের সিমানৌস্কায়ারকে ১ অগস্ট তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিমানবন্দরে নিয়ে যায় বেলারুশ দল। পরের দিন ২০০ মিটার ইভেন্টে নামার কথা ছিল সিমানৌস্কায়ারের। বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন তিনি। পোলান্ডে উদ্বাস্তু হিসেবে রয়েছেন তরুণ অ্যাথলিট। তাঁর ভয়, দেশে ফিরলে আক্রমণ হতে পারে তাঁর উপর।
এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিমানৌস্কায়ার বলেন, “প্রশিক্ষকরা ঠিক ভাবে অনুশীলন করাচ্ছিলেন না। সেটা সবার সামনে বলে দেওয়ার জন্যই আমার উপর আক্রমণ হচ্ছে।” সিমানৌস্কায়ার অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই ৪০০ মিটার রিলে দলে রাখা হয়। বেলারুশের এক জন অ্যাথলিট বাদ পড়েন কর্তৃপক্ষের ভুলে। সেই জন্যই সিমানৌস্কায়ারকে যোগ করে দেওয়া হয়।
বেলারুশের এক সংস্থা সিমানৌস্কায়ারের পদক নিলাম করছে। কর্তৃপক্ষের কারণে বাদ যাওয়া খেলোয়াড়দের সাহায্য করে এই সংস্থা। সোমবার অবধি পদকের দাম উঠেছে ৫২০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার)।
সিমানৌস্কায়ারই প্রথম নন, এর আগেও বহু অ্যাথলিটের উপর কর্তৃপক্ষের কোপ পড়েছে। প্রতিবাদ করলে জেলেও যেতে হয়েছে তাঁদের। যে পদক নিলামে দিয়েছেন সিমানৌস্কায়ার, সেই পদক সম্বন্ধে তিনি বলেন, “বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে এই পদক জিতেছিলাম। আমার পরিবারের উপস্থিতিতে এসেছিল এই জয়। নিজের দেশের মাটিতে। আমার কাছে এই পদক খুব তাৎপর্যপূর্ণ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy